Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে। কারণ, মূলত তেল-গ্যাস থেকে ভর্তুকি কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সেদিন কলকাতায় এলপিজির দাম বাড়ল সাড়ে ২০ টাকা। ডিজেলের দাম ৭১ টাকা ছাড়িয়েছে। আর তার পাশাপাশি ধীরে ধীরে বাড়ছে পরিষেবা খরচ। যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই রেলভাড়া। পাশাপাশি কোনওরকম ঢাকঢোল না বাজিয়েই বেড়ে গিয়েছে বিমানের জ্বালানির দাম বা এটিএফ। এই দুই ক্ষেত্রেই যতটা প্রভাব চোখের সামনে দেখা যায়, ঠিক ততটাই থাকে আড়ালে। প্রথমত আসা যাক রেলে। শুধু যাত্রীভাড়া নয়, পণ্য পরিবহণও রেলের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণের খরচ বাড়লে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই পণ্য আর বাজারে পুরনো দামে পাওয়া যাবে না। মূল্য আকাশছোঁয়া হবেই। পাশাপাশি এটিএফ কিন্তু বিমানের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রেও ব্যবহার হয়। বিমানভাড়া বৃদ্ধিটা না হয় একটা শ্রেণীর মানুষের পকেটে হাত বাড়াবে। উৎপাদনের খরচ বাড়লে যদি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি বিদ্যুতের দামও বাড়ায়, তার ধাক্কা আপামর জনসাধারণকেই সামলাতে হবে।
সেটাই আপাতত হচ্ছে। একদিকে কর্মসংস্থানের অভাব। নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি তো হচ্ছেই না, উল্টোদিকে ছাঁটাই হচ্ছে পুরোদমে। মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে বাজারে পণ্যের চাহিদা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখে পণ্য প্রস্তুতকারক যাবতীয় সংস্থা তাদের উৎপাদন কমিয়েছে। আজকের বাজার অর্থনীতির পরিস্থিতি এটাই। এবং এই পরিস্থিতি চলছে দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। সঙ্গে খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি। গত ছ’বছরের মধ্যে যার সূচক সর্বাধিক। মানুষ গাড়ি, বাড়ি, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র না কিনে চালাতে পারে। কিন্তু খাবারই যদি না জোটে? এখন ১০০ টাকা পকেটে নিয়ে বাজার করতে বেরলে থলের এককোনাও ভরে না। জ্যোতি আলু খুচরো বাজারে হরেদরে ৩২ টাকা কেজি, পেঁয়াজ কমসম করেও ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। খাদ্যসামগ্রীর বাজার কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর জন্য সরকার কতটা দায়ী? আগে দেখা যাক, কীভাবে হয় এই ফুড ইনফ্লেশন। ধরা যাক আগের বছর উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও চাষিরা ফসলের উপযুক্ত দাম পাননি। লোকসান এতটাই হয়েছিল যে, এ বছর তাঁরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন (যা হয়েছে এবার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে)। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাজারে সেই পণ্যের জোগান কমে যাবে। তার উপর রয়েছে অকাল বর্ষণ।
ফলে মূল্যবৃদ্ধি যে হবেই, সে ব্যাপারে প্রশ্নের অবকাশ নেই। অন্য একটা সমীকরণও রয়েছে। তা হল, সরকার বাজার অর্থনীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটাও মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের এক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব রয়েছে। কোনও ফসলের যদি উৎপাদনে ঘাটতি না থাকে, তাহলে তার দাম মাত্রা ছাড়ায় কী করে? এর কারণ একটাই। সেই ফসল বা খাদ্যদ্রব্য বাজারে সঠিকভাবে সময়ে সময়ে বণ্টন হয়নি। তার জন্যই বছরের শেষে এসে দামটাও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এটাও খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
মূল্যবৃদ্ধির এই সাঁড়াশি আক্রমণের ঠেলায় আজ তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। এবার দেখা যাক, সরকার কী করতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সবার আগে দরকার বাজারকে চাঙ্গা করা। সরাসরিভাবে বলতে গেলে পরিকাঠামো খাতে খরচ বাড়ানো। পাশাপাশি পণ্যপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে উৎপাদন বাড়ানোর মতো পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। সেটা কীভাবে? ভারত সরকার উল্লেখযোগ্য ভর্তুকি দেয় তেলের উপর। অপরিশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যত বাড়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারে বৃদ্ধি পায় পেট্রল-ডিজেলের দাম। এর সঙ্গে জুড়েছে আন্তর্জাতিক সমস্যা। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় ইরানের সেনাকর্তার মৃত্যুতে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই ঝামেলায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। খুব স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়বে এদেশের পেট্রল-ডিজেলের মার্কেটে। কারণ, ভারতে যে পরিমাণ তেলের প্রয়োজন, তার ৮৪ শতাংশই আসে আমদানি থেকে। ইতিমধ্যে গত তিন মাসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫৮ থেকে ৬৯ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। এই আন্তর্জাতিক টালমাটাল পরিস্থিতি বজায় থাকলে যা আরও বাড়বে।
সরকার এখন কী করতে পারে? তেল কোম্পানিগুলিকে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা সরকার দিল না। সংস্থাগুলিকেই বলল, আন্তর্জাতিক বাজারের উপর ভিত্তি করে আপনারা দাম কমান বা বাড়ান। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় নজরদারি থাকবে। অর্থাৎ, কোনও সংস্থা বাজারের সঙ্গে সামঞ্চস্য না রেখে দাম বাড়ালে সরকার তাকে চেপে ধরতে পারবে। এবার যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি কেন্দ্র তেল কোম্পানিগুলিকে দিচ্ছে, সেটাই খরচ হবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে। বা কোনও শিল্পক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে। তেলের দাম যদি কমে, তার সরাসরি প্রভাব হিসেবেই মূল্যবৃদ্ধি কমবে। তখন ব্যাঙ্কগুলি পারবে সুদের হার কমাতে। অর্থাৎ কম সুদের হারে ঋণ দিতে। তাতে বিনিয়োগ বাড়বে, উৎপাদন ক্ষেত্র চাঙ্গা হবে এবং তার সঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটা একটা উপায় হতে পারে মন্দা থেকে বেরনোর। যতদিন না এমন কিছু সম্ভব হচ্ছে, ততদিন সরকারকে দেখতে হবে যাতে পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের সহ্যের সীমার বাইরে না চলে যায়। কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ। কিন্তু এর ফল এখনই পাওয়া যাবে না। অপেক্ষা করতে হবে বছর শেষের জন্য। ট্যাক্স একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়ায় সংস্থাগুলি যে বেশি লাভ করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। কিন্তু তাতেও যে উৎপাদন বাড়বে বা নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কর্পোরেট ট্যাক্সে কিন্তু দেশ চলে। ব্যক্তিগত ট্যাক্সে নয়। কাজেই ৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স কমে যাওয়া মানে দেশের রাজস্বে বড় ঘাটতি। বরং বাজারে কোনও শিল্পের ওঠানামার উপর নির্ভর করে সেই সংক্রান্ত জিএসটি বা অন্যান্য শুল্কের হারে বদল আনলে সুরাহা পাওয়া যেতে পারে। আর সাধারণ মানুষের আয়করে যদি মোদি সরকার ছাড় দেয়, তা মানুষের কাছে বিশল্যকরণীর মতো হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কি তা করবেন? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ, লোকসভা ভোটে সদ্য জয়ের পর আরও শক্ত জমিতে পা রেখেছেন তিনি। আগামী পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত। এরপর যদি কোনও বিষয় মোদিকে টলাতে পারে, তা হল একের পর এক বিধানসভা ভোটে বিজেপির ধাক্কা খাওয়া। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ভোট। তারপর বছরখানেক সময় পাওয়া যাবে।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার। তার আগে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি আর একটা কিছু মাস্টার স্ট্রোক দেবেন। কারণ, শুধু পাকিস্তান দিয়ে যে বিধানসভা ভোটগুলিতে শিকে ছিঁড়বে না, তা বিজেপি বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছে। বাকি রইল ধর্মীয় মেরুকরণ। এই ইস্যু অবশ্যই এখনও জ্বলজ্যান্ত। এবং দেশের নানা প্রান্তে সাফল্যের সঙ্গে গেরুয়া শিবির এই ইস্যু প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। ভারতে এই প্রথম ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন। অথচ এই নরেন্দ্র মোদিই নাকি কথায় কথায় মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করেন! সেই মহাত্মা গান্ধী, যিনি ৬ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সব শিখেছিলেন। ধর্ম ছাড়া। এপাশ ওপাশে যা দেখতেন, শুনতেন সেখান থেকেই কিছু না কিছু কুড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। এসব করতে গিয়ে ‘ধর্ম’ বিষয়টির এক অন্য মানে করেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে ধর্ম বলতে ছিল আত্ম উপলব্ধি বা আত্মিক জ্ঞান। অবশ্যই প্রধানতম কারণ হল, গান্ধীজি এখনও পাবলিকের কাছে গ্রহণযোগ্য। অন্তত ছবি টাঙিয়ে দেওয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তো বটেই!
তাই ধর্ম নিয়ে গান্ধীজির মতামত যাই থাকুক না কেন, স্বচ্ছতা অভিযানে অন্তত তাঁকে আদর্শ খাড়া করে দেশ ও দশের প্রিয় হওয়ার মাস্টারস্ট্রোক মোদি তাঁর প্রথম ইনিংসেই দিয়েছিলেন। আসলে এই কাজটা তিনি ভীষণ ভালোভাবে পারেন... একটা বিষয়ের থেকে অন্যটিকে আলাদা করে রাখতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধী, দু’জনকেই গুরুত্ব দেবেন। অথচ দু’জনের আদর্শগত বিরোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার প্রসঙ্গ তুলবেন। কিন্তু তাঁর সর্বধর্ম, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের আকাঙ্ক্ষাকে সযত্নে এড়িয়ে যাবেন। আচ্ছে দিনের কথা বলবেন। কিন্তু মানুষের সমস্যা, নিত্যযন্ত্রণা যে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখবেন।
কিন্তু আর কতদিন? মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় যদি এখনও না আসে, তাহলে কবে আসবে সেই ‘আচ্ছে দিন’। যখন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিজেপি সরকার দেশের অর্থনীতি নিয়ে সত্যিকারের কিছু করার কথা ভাববেন... দেশবাসীর পাশে থেকে নিত্যযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা অন্তত করবেন।
07th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
গণতন্ত্রে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরেরও মূল্য আছে
সন্দীপন বিশ্বাস

পুরনো বছর বিদায় নিয়েছে। এসেছে নতুন বছর, নতুন দশক। বহু সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বছরে প্রবেশ করলেও নতুন প্রত্যাশায় উদ্ভাসিত মানুষের মন। সেটাই তো হওয়া উচিত। পুরাতন বৎসরে জীর্ণতা ধুয়ে যাক। মুছে যাক অবসাদ। এই প্রত্যাশাতেই উজ্জ্বল হোক নতুন বছর। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, প্রত্যাশা এবং বাস্তবের মধ্যে দূরত্ব অনেকখানি। 
বিশদ

06th  January, 2020
অর্ধেক জনগণের সাধারণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

আমরা জনগণ আমাদেরই জন্য ভারতের সংবিধান তৈরি করেছি। ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’-এর নীতিতে গণপরিষদ তৈরি হয়নি এবং এই কারণে এটা জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নয়। তবু, চূড়ান্ত প্রাপ্তির ভিত্তিতে এটার বিচার করা হয়েছে, গণপরিষদ ভারতের সমস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। 
বিশদ

06th  January, 2020
‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণ মাদুলি দিতে শুরু করলে সোনায় মুড়ে যেত গোটা কামারপুকুর
হিমাংশু সিংহ

 সিঁথি-বরানগরে আমার বাস গত পাঁচদশক ধরে। সেই সুবাদে প্রতি বছর পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে জনপ্লাবন দেখার অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এবছরও ১ জানুয়ারি দুপুরে সিঁথি পেরিয়ে বিটি রোডের পাশ দিয়ে অফিসে আসছিলাম।
বিশদ

05th  January, 2020
জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপ্রধানদের ভরসা এবার নারীশক্তি 
ছত্রধর দাস

 দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনেকক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তগ্রহণে মহিলাদের অসম অংশগ্রহণ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা স্থিতিযোগ্য উন্নয়নের পরিপন্থী। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে মহিলাদের স্থানীয় জ্ঞান, স্থিতিযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে তাঁদের নেতৃত্বদান, দৈনন্দিন পারিবারিক ও সামাজিক কর্মসম্পাদনে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে মহিলারা বর্তমানে নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা সার্থকভাবে পালন করছেন। এমনকী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ নাগরিকদের কাছে অনেকক্ষেত্রেই অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণ হয়। তাই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে এবার নারীকেই নিতে হবে মুখ্য দায়িত্ব। বিশদ

04th  January, 2020
জনগণ ফিরে পেয়েছে তার কণ্ঠস্বর
মৃণালকান্তি দাস

ফের বিতর্ক, ফের ধোঁয়াশা! এনআরসিতে এনপিআর তথ্য নিয়ে তালগোল পাকিয়ে দিয়ে বছর শেষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার তথা এনপিআরের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র কোনও সম্পর্ক নেই।  
বিশদ

03rd  January, 2020
ঝাড়খণ্ডের বার্তা
শুভময় মৈত্র

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেল বিজেপি। এমনটাই জানা গিয়েছিল বুথ-ফেরত সমীক্ষা থেকেও। নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বে যখন বিজেপি জোট না গড়ে একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল, তখনই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভুরু কুঁচকেছে। 
বিশদ

02nd  January, 2020
ঠাকুর কেন কল্পতরু হয়েছিলেন
হারাধন চৌধুরী

একবার এক সাধু দেশভ্রমণে বেরিয়ে কামারপুকুরে এলেন। অতিথি হলেন চিনু নামে এক ধর্মভীরু ব্যক্তির বাড়িতে। গুছিয়ে বসার পর সাধু তাঁর এক বেআক্কেলে সাধের কথা শোনালেন গৃহস্থকে—মৌরলা মাছ দিয়ে আমের টক খাব।  
বিশদ

01st  January, 2020
একনজরে
 তেহরান, ১১ জানুয়ারি (এএফপি): ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের বিমান। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭৬ জন। দুর্ঘটনার পর থেকেই ইরানের হামলার তত্ত্বই উঠে আসছিল। প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করছিল তারা। কিন্তু, শনিবার বিবৃতি জারি করে দায় স্বীকার করে নিয়েছে তেহরান। ...

 বেঙ্গালুরু, ১১ জানুয়ারি: শনিবার ৪৭ বছরে পা দিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিশ্ব থেকেই অগুনতি শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’। ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলার চা বলয় হিসেবে পরিচিত চোপড়া ব্লকের একাধিক চা বাগান বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে কাজ হারিয়েছে বহু শ্রমিক। কিছু বাগানে শ্রমিকরা কমিটি করে চালাচ্ছে। কোথাও আবার জমি মাফিয়াদের দখলে যাচ্ছে চা বাগান। কেটে নেওয়া হচ্ছে ...

 গান্ধীনগর, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। তারই মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করলেন অমিত শাহ। গুজরাতের মাটি থেকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬২ টাকা ৭২.৭৮ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৫.২৮ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯, ১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৩৩
রাত্রি ৮/১২। পুষ্যা ১৩/৩৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৬/২৩/২, অ ৫/৬/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/১৪
মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/২৪
গতে ১/৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। 
২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৯/৪৪/২৯ রাত্রি ১০/১৮/৫২। পুষ্যা ১৮/৪৮/৪৯ দিবা ১/৫৬/৩৬। সূ উ ৬/২৫/৪, অ ৫/৫/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২
গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৫/২৯ গতে ১/৫/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৫/২৩ গতে ৩/৫/১৭ মধ্যে । 
মোসলেম: ১৬ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভদ্রেশ্বরে টোটোচালকের মানিব্যাগ ফেরাল ৫ম শ্রেণীর ছাত্র 
আজ দুপুরে ভদ্রেশ্বরের রাস্তায় একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পায় ৫ম শ্রেণীর ...বিশদ

09:57:00 PM

কোচবিহারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের 
রহস্যজনকভাবে কোচবিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:37:02 PM

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সমিতকুমার দাস

04:56:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রালে পুলিসের গুলিতে হত ৩ জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র 

04:12:42 PM