বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন তাঁরা বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিস গেরুয়া শিবিরের ছাত্র শাখা এবিভিপির মতো কথা বলছে। তদন্তের নামে প্রহসন করছেন দিল্লি পুলিসের আধিকারিকেরা। রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে কাপুরুষের মতো আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবিভিপি।’ গতকাল দিল্লি পুলিসের ঐশী ঘোষদের ছবি প্রকাশের পাল্টা হিসেবে এদিন তিনজন এবিভিপি সদস্যের নামে অভিযোগ করেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা। সাকেত মুন বলেন, ‘দুর্গেশ কুমার, মণীশ জাহাঙ্গির, বিজয় কুমারের মতো কয়েকজন এবিভিপি নেতার নেতৃত্বেই গত রবিবার গুণ্ডারা রড, লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অথচ পুলিস এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’ ঐশী বলেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ এই পরিস্থিতিতেই এদিন জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের একটি অংশের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার। গত ৫ জানুয়ারির হামলার ঘটনার পর এই প্রথম ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশের সঙ্গে দেখা করলেন জেএনইউয়ের উপাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। পঠনপাঠনও শুরু করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও একইভাবে চালাতে হবে।’ তবে তাঁর অভিযোগ, হস্টেলে অবৈধভাবে থেকে রবিবারের হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।
যদিও জেএনইউয়ের বামপন্থী ছাত্র সংসদের অভিযোগ, তাদের কোনও প্রতিনিধিকে কথা বলার জন্য ডাকেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই আলোচনা সম্পূর্ণভাবে লোক দেখানো। গত রবিবারের ঘটনার তদন্ত করতে এদিনও জেএনইউ ক্যাম্পাসে যায় দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি পুলিসের ডিএসপি জয় তিরকে। এদিন নয়াদিল্লির কেরল হাউসে কেরলের সিপিএম-এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও দেখা করেন ঐশী। তিনি বলেন, ‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের নির্ভয়ে লড়াই জারি রাখতে বলেছেন। আমরা তাই করব।’ ঘটনাচক্রে এদিন থেকেই দিল্লিতে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের পলিটব্যুরো বৈঠক। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআরের পাশাপাশিই জেএনইউ কাণ্ডও দলীয় আলোচনার অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে পিনারাই বিজয়ন তাঁর এবং ঐশীর কথোপকথনও উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফরকে কেন্দ্র করে এদিন একটি ভিডিও বার্তাও পোস্ট করেছেন ঐশী ঘোষ। সেখানে নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি সারা দেশেই বিভাজনের রাজনীতি করছে। এখন বাংলাতেও তাই করতে চাইছে। আর বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতিতে হাত মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া যাবে না।’ ঐশীর এই ভিডিও বার্তাকে ঘিরে ফের নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।