বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তৃণমূল আমলে দপ্তর ভিত্তিক রাজ্য বাজেটে তফসিলি জাতি উপজাতির বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন বিরোধীরা। এদিন তাঁদের সেই ক্ষোভে জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ক্ষমতায় বসার দুই বছরের মাথায় আলাদা আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর গঠন করেছিলেন মমতা। অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মিলিত বাজেট ২০১১ সালের ৩৬০ কোটি টাকা থেকে ২০১৯-২০ সালে পাঁচ গুণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মমতা বলেন, একদিকে যেমন বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছেন, তেমনই কর্মসংস্থানেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তাঁর সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, স্পেশাল রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি দপ্তরে তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রথম পর্যায়ের নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে। তফসিলি জাতির ৪ হাজার ১৪২ জন এবং আদিবাসীদের ৯৪৩ জনের নিয়োগ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তফসিলি জাতির ৬ হাজার ৯৯ এবং আদিবাসীর ১ হাজার ৭৩৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সাড়ে ১২ লক্ষ তফসিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াকে শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। শুধু আর্থিক উন্নয়ন নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী মানুষের সংস্কৃতি ও ভাষার উন্নতিতেও তাঁর সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। তিনি বলেন, কুরুখ, রাজবংশী, সাঁওতালি ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় জঙ্গলমহল উৎসব, আদিবাসী দিবস, করম উৎসব, হুল দিবস, অলচিকি লিপিতে পাঠ্য পুস্তক ও সাঁওতালিতে ত্রিভাষিক অভিধান প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। জমির পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, বাম জমানার ৩৪ বছরে রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতির উন্নয়ন থমকে ছিল। বিরোধীদল নেতা আব্দুল মান্নান, সুখবিলাস বর্মা, নেপাল মাহাত থেকে বামফ্রন্টের অশোক ভট্টাচার্য, বিজেপির মনোজ টিগ্গা সবারই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী এত বছরে কোনও দিনই তফসিলি জাতি উপজাতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেননি। এমনকী বিধানসভায় বিরোধী দলের উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরকারি আলোচনায় ডাকাই হয় না বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা। প্রায় একই অভিযোগ নেপাল মাহাতরও।