বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী কাছারি ময়দানের মঞ্চে ওঠেন। এরপর ৩১১ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ৫১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এছাড়া ৮৫ জন উপভোক্তার হাতে একাধিক সুবিধা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ২৮টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এরপর ৪টে ২৪ মিনিট নাগাদ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এরপর মোট ৯ জন বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী, পালাকার, সুরকার ও প্রযোজকের হাতে শান্তিগোপাল ও তপনকুমার স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাত্রা আকাদেমির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসু, পুর্ণেন্দু বোস, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন, এমপি কাকলি ঘোষ দস্তিদার ছাড়াও জেলার অন্যান্য বিধায়ক, জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী সহ অন্যান্য প্রশাসন ও পুলিসের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত বছরও ৬৪৪ জন দুঃস্থ যাত্রাশিল্পী ও কলাকুশলীকে ১৫ হাজার টাকা করে এককালীন অর্থসাহায্য করেছিলাম। আমি অরূপকে বলব, আইএনসি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ১৫ হাজার টাকা ভাতা বাড়িয়ে এবার ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাত্রা শিল্পীদেরও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে নাও। চিকিৎসা করাতে তাঁদের সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, বাম আমলে ২০১০ সালে রাজ্যের মাত্র ৯০ জন যাত্রাশিল্পী এই ভাতা পেতেন। পরিমাণ ছিল ৬ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও পরিষেবা ছিল না তখন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় জেলা প্রশাসন, পুলিস, পঞ্চায়েত সহ সকলেই খুব ভালো কাজ করেছে। সেকারণে আমরা ৬১ হাজার মানুষকে ১৭৫টি ত্রাণশিবিরে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। এখানে ৫ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। বসিরহাটে গিয়ে মৃত ওই ৫ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২ লক্ষ ত্রিপল, ৪০০ মেট্রিক টন চাল, সাত হাজার কেজি বেবি ফুড, কম্বল দেওয়া হয়েছে। বাংলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৬ লক্ষ ডিজাস্টার কিটও দেওয়া হয়েছিল। এই জেলায় ২ লক্ষের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ লক্ষ ৬৩ হাজার হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪ হাজার হেক্টরের বেশি ফিশারিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানের বরোজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাদের বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কাজও চলছে। আপনারা বিপদে পড়লে পাশে কেউ না থাক, সরকার ছিল, আছে, থাকবে। তিনি আরও বলেন, যাত্রা মানুষের সামাজিক জীবন ও ভাবনা তুলে ধরে। অনেক কষ্ট করে শিল্পীরা এই কাজ করেন। যাত্রা শিল্পীদের আরও উৎসাহিত করার আহ্বানও জানান মমতা। গ্রাম বাংলায় অনেক মেলা ও উৎসব করে বহু ক্লাব ও এনজিও। তাদের বলব, আপনারা যাত্রাকে উৎসাহিত করুন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন যাত্রাশিল্পীরা তাঁদের ইউনিয়নের তরফে আমাকে একটা ছোট ট্যাবলো উপহার দিয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে নো এনআরসি, নো ক্যাব। ওটা আমি আপনাদেরই রাখতে দিলাম। আপনারা এই বিষয়ে যাত্রা তৈরি করুন। গ্রামে-গঞ্জে উপস্থাপন করুন।