বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মঞ্চের তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, বকেয়া বর্ধিত বেতন না দেওয়া এবারই প্রথম। তাছাড়া, ইউজিসি’র পে-স্কেলকে অগ্রাহ্য করে যেভাবে আমাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এক সারিতে ফেলা হয়েছে, তাতে আমরা অসম্মানিত বোধ করছি। অবসরপ্রাপ্তদের পে-রিভিশন নিয়ে কিছু বলা নেই। পিএইচডি, এমফিল, এমটেক, এমই-দের ইনক্রিমেন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে কোনও অর্ডার হয়নি। প্রাণিসম্পদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অর্ডারে বর্ধিত বেতন কবে থেকে কার্যকর হবে, তারও উল্লেখ নেই। তাঁদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীনে নয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের সব দপ্তরের এই বিষয়ে একসঙ্গে বৈঠকে বসে একটি অর্ডার জারি করা উচিত ছিল। কলেজের অধ্যক্ষদেরও বঞ্চনা করা হয়েছে। যদি তাঁরা আমাদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে আসতে চান, তবে স্বাগত। আধিকারিকদের পে-স্কেলে একটি বিচ্যুতি রাখা হয়েছে। এছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৭ বাতিল, স্ট্যাটিউট তৈরি, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল, সেনেট, সিন্ডিকেট, কোর্ট, এগজিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল প্রভৃতি দাবিও তোলা হয়েছে।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ১৭ তারিখ একটি বৈঠক রয়েছে। তাতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ২৮ জানুয়ারি একটি যৌথ কনভেনশন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপাকেও পেশাগত দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে বলে পার্থপ্রতিমবাবু জানান। এ প্রসঙ্গে ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, আমরা আলোচনায় রাজি। তবে, সরকারবিরোধী কোনও কর্মসূচিতে আমরা অংশ নেব না।
এদিনই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোপায় সংশোধনী এনে শিক্ষকদের সমতুল হারে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন আধিকারিকরা। উপাচার্যদেরও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিক সমিতির এক প্রতিনিধিদল শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে দেখা করে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তীর দাবি, মণীশ জৈন তাঁদের বলেছেন, যেহেতু এটি নীতিগত সিদ্ধান্ত, তাই তাঁর এ বিষয়ে কিছু করার নেই। তাঁরা যেন শিক্ষামন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের এই আবেদন জানান।