বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এমনিতেই পাশ ফেল নিয়ে যে নীতি ঠিক হয়েছে, তাতে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষায় খারাপ বা অনুত্তীর্ণ হলে, সেই সব পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস নিতে হবে। তাদেরকে ফের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এবার সেই সূত্র ধরেই বাকি ক্লাসের দুর্বল পড়ুয়াদের উপর বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মত শিক্ষামহলের। পর্ষদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এবং ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত যে সময় থাকবে, তার মধ্যেই এই ক্লাস করাতে হবে। সাধারণত, এই তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়। তারপর তার ফল প্রকাশ হয় ওই মাসের শেষেই। ফলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় থাকেই। সেটাকেই ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি পড়াশুনার বাইরে নানা কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতেও যোগ দিতে হবে। সেকথাও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকারাই এই রেমেডিয়াল ক্লাস নেবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও, শিক্ষকদের হাতে কি প্রতিদিনি এমন ক্লাস নেওয়ার সময় থাকবে? যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও শিক্ষকদের নানা কাজ থাকেই। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর কাজকর্ম ও পরীক্ষার খাতা দেখা তো থাকেই। তাছাড়া এই সময় পড়ুয়াদের শিক্ষামুলক ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সব কিছু মানিয়ে নিয়েই এই ক্লাস নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের বক্তব্য, এখন এই ক্লাস নেওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করবে স্কুলগুলিতে কত শিক্ষক রয়েছে, তার উপর। যেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় শিক্ষক আছে, সেখানে সমস্যা হবে না। অন্যত্র অবশ্য তা নেওয়া কঠিন হবে।