বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক সংরক্ষণের মেয়াদ আরও ১০ বছরের জন্য বাড়ানোর বিষয়ে সদ্য সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়া সংবিধান সংশোধনীটির অনুমোদন দেওয়ার জন্য এদিন বিধানসভার সংক্ষিপ্ত অধিবেশন বসে। সেই উপলক্ষে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মমতা নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় শিবিরের সঙ্গে। এর আগে সিএএ ইস্যুতে সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে সদনে সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য এই দুই বিরোধী পক্ষ দাবি জানায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। এদিন আব্দুল মান্নান-সুজন চক্রবর্তীদের জমা দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে আলোচনার দাবি খারিজ হয়ে যায়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরে এনআরসি ইস্যুতে অনুরূপ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় আলাদা করে সিএএ নিয়ে একই পদক্ষেপের আর প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী তখনই তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন, নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি কোনওটাই রাজ্যে লাগু হবে না বলে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেই যুক্তির উল্লেখ করতেই সুজনবাবু তাঁর উদ্দেশে বাম-কংয়ের তরফে প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা বলেন। তাতে বেজায় চটে যান মমতা। তিনি বলেন, আপনি কে? এসব বলার কে আপনি? তাঁর এই কথার প্রতিবাদ জানান বাম-কং বিধায়করা। তাতে আরও মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দুই দল বিজেপি’র বিরোধিতার নামে তামাশা করছে। ধর্মঘটের নামে কাল তাণ্ডব চালিয়েছে। এখানে এক রকম ভূমিকা নেবে আর দিল্লিতে ওদের দলের সঙ্গে বসে আমায় বৈঠক করতে হবে, তা হবে না। সিএএ’সহ অন্যান্য ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী নেতানেত্রীদের বৈঠক করার ব্যাপারে আমিই উদ্যোগ নিতে বলি। কিন্তু মাফ চেয়ে বলছি, রাজ্যে কংগ্রেস-সিপিএমের গুন্ডাগিরির পর আমি ১৩ তারিখের ওই বৈঠকে যাব না বলে ঠিক করেছি। বিজেপিকে আমি একাই মোকাবিলা করতে পারব।