কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হুগলি গ্ৰামীণ জেলা পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, প্রতিদিন খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় পুলিসের রুট মার্চ চলছে। অশান্তপ্রবণ এলাকায় পুলিসের টহলদারি গাড়ি নজরদারি চালাচ্ছে। অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্ৰেপ্তার করা হচ্ছে। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিস প্রশাসনের তরফে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চব্বিশের লোকসভার ফল ঘোষণার পর উনিশ দিন অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। তারপরেও অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খানাকুল-২ ব্লকের রাজহাটী-১ পঞ্চায়েত এলাকায় গত ১৯ মে বিজেপি দুষ্কৃতীদের হাতে ১১ জন তৃণমূল কর্মী আহত হন। ঘটনার গুরুতর জখম মনোরঞ্জন দিগের কুড়িদিন পর মারা যান। গত মঙ্গলবার চিংড়া পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গচক এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য লবকুমার দলুই ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। উল্টোদিকে শুক্রবার রাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধান্যগোড়ী পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান কার্তিক ঘোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা বিষ্ণুপ্রিয়া কাজিকে মারধরের অভিযোগ ওঠাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। খানাকুল-২ ব্লকের সাবলসিংহপুর , কিশোরপুর-১ ও ২ , রাজহাটী ১ ও ২, চিংড়ার মতো পঞ্চায়েতের মতো এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়কের ইন্ধনে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। এলাকায় ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, খানাকুলে বিজেপি এবারের ভোটে ভালো করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব সেটা মেনে নিতে পারছে না। বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নাম ছড়ানোর লক্ষ্যেই মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুই পক্ষের রাজনৈতিক চাপানউতোর ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। রাজনৈতিক এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।