কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বসিরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাস করেন পিনাকী নাথ। পেশায় তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় কর্মরত। তাঁর একমাত্র ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু তাতেও জ্বর কমছিল না। ক্রমে ক্রমে জ্বর বাড়ছিল। ওই চিকিৎসকের উপর ভরসা না রেখে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেই চিকিৎসক তাকে দেখেই বুঝতে পারেন জ্বর নয়, অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুটি। সেই মতো ডেঙ্গু, স্ক্রাব টাইফাস ও প্লেটলেটের পরীক্ষা করানো হয়। পরে রিপোর্ট হাতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছে সে।
এ নিয়ে আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, চিকিৎসক পরিবর্তন না করলে খারাপ কিছু ঘটতে পারত। এখন ছেলে ভালো আছে। নতুন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করানোয় জ্বর কমছে। এ নিয়ে বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা ভয়ঙ্কর রোগ কিছু নয়। তবে মানুষকে সচেতন থাকার জন্য বলা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত হলেই যেন সবাই রক্ত পরীক্ষা করান। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুরসভা যৌথভাবে এই কাজ করবে। মানুষ যাতে সচেতন হয় সেই জন্য সচেতনতামূলক প্রচারও আমরা শুরু করছি। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এদিকে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হন, তার জন্য প্রচার শুরু হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এ সময় আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।