মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিন পিজি’র কার্ডিওথোরাসিক বিভাগের নীচে দিনভর আশা-উৎকণ্ঠা নিয়ে এলাকার মানুষজন ও রাজনৈতিক নেতাদের ভিড় লেগে ছিল। এসেছিলেন অসিত মজুদার, প্রবীর ঘোষাল, দিলীপ যাদব সহ জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা। প্রতি মুহূর্তে এলাকার লোকজন ফোনে খবর দিচ্ছেন, ‘এই শোন রে, ঋষভ একটু ভালো হয়েছে রে। ওর নাম ধরে ডাকতেই ঠোঁট নাড়িয়েছে ও’। কেউ বলছেন, ‘ডাক্তার বলেছেন, শুক্রবারের চেয়ে অনেকটা ভালো’।
শ্রীরামপুর পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পাপ্পু সিং-এর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সমীরণ ঘোষ বলেন, ঋষভ হল ওর বাবা-মায়ের ‘জান’! বয়সে ছোট হলে কী হবে, আমাদের সঙ্গে দিনভর খুনসুটিতে মেতে থাকত। আমি ওর দিকে ‘ঢিসুম, ঢিসুম’ করলেও হাসতে হাসতে পাল্টা ‘ঢিসুম, ঢিসুম’ করে জবাব দিত ও। আমি নিশ্চিত, পিজি’র ডাক্তারদের কল্যাণে আর ঠাকুরের আশীর্বাদে ফের ক’দিনের মধ্যেই পাপ্পুর ছেলেটার সঙ্গে ফের খুনসুটি করতে পারব আমি।
কার্ডিওথোরাসিক বিভাগ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে ট্রমা সেন্টারের নীচেও তখন উদ্বেগমাখা মুখের ছড়াছড়ি। ভেন্টিলেশনে থাকা ছেলের জন্য ঘনঘন কান্নায় ভেঙে পড়ছেন দেখে দীপ্তাংশুর মা রিমাদেবীকে মিডিয়া, রাজনৈতিক নেতানেত্রী আর কৌতূহলী মানুষের ভিড় থেকে সরিয়ে রেখেছেন বাড়ির লোকজন। ছেলের কথা বলতে গিয়ে বুজে এল মায়ের গলা। কোনওক্রমে বললেন, ওর সঙ্গেই কেন এমন হল! যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে আমার ছেলে। কারওর সম্পর্কে কোনও নালিশ অভিযোগ করে না। ঠাকুর, ওর ক্ষেত্রেই কেন এত বড় বিপদ হল? তুলনামূলকভাবে অনেকটা শান্ত, ঠান্ডা ছিলেন বাবা গোপীনাথ ভকত। বললেন, চিকিৎসকদের তরফ থেকে অসাধারণ সহযোগিতা পাচ্ছি। ওদের পরিষেবা নিয়ে কিছু বলার নেই। এককথায় তুলনাহীন। রাজনীতি বুঝি না। এটুকু বুঝি, ছেলেকে আমরা সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।
রাজনীতির প্রসঙ্গ এল, কারণ যখন দীপ্তাংশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তার কিছুক্ষণ আগেই বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ট্রমা সেন্টারে ভর্তি সংজ্ঞাহীন দীপ্তাংশুকে দেখাতে যাওয়া নিয়ে একপ্রস্ত উত্তেজনা ছড়িয়েছে। লকেটের অভিযোগ ছিল, শাসক দলের সাংসদ, বিধায়কদের ট্রমা সেন্টারের ভিতরে ঢুকতে দিলেও প্রথমে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও তিনি পরে ভিতরে যান।