মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিনের এই বৈঠকে খাল সংস্কার ও নদীবাঁধ সুদৃঢ় করার প্রয়োজনে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় সাধনের উপর জোর দেওয়া হয়। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, বাঁধের উপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো, গাছ কাটা, জনস্বাস্থ্য বিভাগের পাইপ লাইন সরানো, ক্ষুদ্র কৃষি সেচদপ্তরের জল সেচের পাম্প সরানো খালের কচুরিপানা পরিষ্কার সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, হাওড়া জেলার যেসব এলাকায় খাল সংস্কার করা হবে এবং নদীবাঁধ নির্মাণ করা হবে সেই এলাকায় প্রায় ৪০০ বৈদ্যুতিক খুঁটি, ৪টি ট্রান্সফরমার, দুটি রিভার লিফটিং ইরিগেশন পাম্প, কয়েক কিলোমিটার জলের পাইপ লাইন সরানো হবে। এদিন জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কাজের সম্ভাব্য খরচের হিসবে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেচ দপ্তরের কর্তা সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগামী বুধবার থেকে মান্দারিয়া খালের সংস্কারের কাজ শুরু হবে। বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে উদয়নারায়ণপুর আমতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চিরতরে বন্যার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিশ্বব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাঙ্ক-এর অর্থ সাহায্যে প্রায় ২ হাজার ৯৩১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ের রাজ্যের দামোদর উপত্যকায় চাষের উন্নতি ও বন্যা নিয়ন্ত্রনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলার প্রায় ১৮০ কিলোমিটার প্রধান সেচ খাল ও ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার অন্যান্য সেচ খালের উন্নতি করা হবে। সূত্রের খবর প্রকল্পটিতে ৫টি জেলার ৪১টি ব্লকে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ২টি জেলার ২০টি ব্লকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।