পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
২০১৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ১০ দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ডিরেক্টর দেবাঞ্জন চক্রবর্তী। এই সফরের নেপথ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মউ। ভারতে স্বাক্ষরিত হওয়া ওই মউয়ের লক্ষ্য ছিল ব্রিটেনের উৎসব ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের সঙ্গে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা। এর মধ্যেই রয়েছে লন্ডনের টোটালি টেমস ফেস্টিভ্যালের ধাঁচে ২০১৯ সালে কলকাতায় একটি নদী উৎসবের আয়োজন নিয়ে আলোচনা।
কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৌরভ নিয়োগী। বাংলার সঙ্গে পর্যটন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে, বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব ও ব্রিটেনে বসবাসকারী বাঙালিদের নিয়ে ব্রিটেন ও বাংলার মধ্যে আলোচনার বিষয়ে কথা বলতে। এই আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ‘জীবন্ত সেতু’ বলে পরিচিত অনাবাসীদের তরফে আর্থিক সম্পর্ক ও সমৃদ্ধি আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দেওয়া প্রতিশ্রুতি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ডিরেক্টর দেবাঞ্জন চক্রবর্তী ‘বর্তমান’কে বলেন, পর্যটন, হসপিটালিটি ও সৃজনশীল ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যেই অনেক কিছু হচ্ছে। এই গোটা বিষয়ে উৎসবগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে আমাদের। একটি নদী উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যেও কাজ করব আমরা। লন্ডনের টেমস উৎসবের ধাঁচে এবছর দুর্গাপুজোর পরপরই যার আয়োজন করা হবে।
বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই যেসব ইস্যুতে আলোচনা চলছে, তার মধ্যে রয়েছে উৎসব পরিচালন সংক্রান্ত একটি কর্মসূচি। যাতে কলকাতার সঙ্গে এডিনবরা উৎসবের যোগাযোগ গড়ে তুলে বিষ্ণুপুর ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবগুলিকে প্রচারের আলোয় আনা যায়। সৃজনশীল অর্থনীতি ও পর্যটনকে চাঙ্গা করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে একত্রিত করা যায়। এর আগে কলকাতায় ২০১৮ সালে অত্রি ভট্টাচার্য বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিবিই চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফার রড্রিগেজের সঙ্গে। টেমস ও হুগলি নদী এবং লন্ডন ও কলকাতা বন্দরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে একটি প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেখানে আলোচনা হয়। কারণ এই দুই বন্দর ও নদী এবং তাদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাযুজ্য রয়েছে।
এদিন কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৌরভ নিয়োগী। তার আগে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান ও উপার্জন, উভয় ক্ষেত্রেই বড় সুযোগ তৈরি করে পর্যটন। বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০টি চাকরির মধ্যে একটি করে পর্যটন ক্ষেত্রে। অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্র হল পর্যটন। পর্যটনের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ। সঠিক পরিচর্যা হলে এর মাধ্যমে উপার্জন ও কর্মসংস্থান, উভয়ই গড়ে উঠবে। আজকের পৃথিবীতে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অনাবাসীদের। বিশ্বজুড়ে বাঙালিদের এই প্রজন্মের সাফল্যের অর্থ হল, মতামতকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে আমরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছি। ব্রিটেনে বাংলার পর্যটনের জন্য একটি মঞ্চ গড়ে তোলার কাজে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদ উৎসব। বিগত বেশ কয়েক বছরে পর্যটন দপ্তরের কাজ প্রতিফলিত করছে বাংলায় আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সংখ্যার বৃদ্ধি। এটা একটা যাত্রা এবং বাংলার পর্যটন প্রারম্ভিক পর্যায়ে রয়েছে। এই যাত্রা জারি থাকলে বাংলার ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণগুলি প্রকাশিত হওয়ার সত্যিকারের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
কলকাতায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে অংশ নিতে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজও একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।