কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শনিবার দেশের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে বর্ধমান আদালতে জাতীয় লোক আদালত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকেই বিচার প্রার্থীরা মামলার নিষ্পত্তির আশায় আদালতে ভিড় জমান। তবে, অনেক বিচারপ্রার্থী আদালতের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মামলার নথিপত্র সময়মতো লোক আদালতে পেশ করা হয়নি। দীর্ঘক্ষণ মামলার নথি পৌঁছনোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। আদালতে একটি মাত্র প্রিন্টার ছিল। ফলে, আদালতের নির্দেশ পেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। বসার জায়গা না থাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। যদিও এসবের মধ্যেই আদালত চত্বরে দালালদের রমরমা লক্ষ্য করা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আইনজীবী বলেন, ব্যাঙ্কে ঋণ সংক্রান্ত মামলার চিঠি পেয়ে গ্রাহকরা লোক আদালতে হাজির হন। আদালত কক্ষে পৌঁছনোর আগেই ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্টরা তাঁদের নানাভাবে বোঝাতে শুরু করে। এমনকী লোক আদালতে নিষ্পত্তি না করে ব্যাঙ্কে গিয়ে সরাসরি টাকা জমা দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের বোঝানো হয়। অনেকেই তাদের খপ্পড়ে পড়ে আদালতে হাজির না হয়ে ফিরে যান।
এক রিকভারি এজেন্ট বলেন, লোক আদালতে নিষ্পত্তি করে ঋণের টাকা জমা পড়লে কমিশন জুটবে না। তাছাড়া ঋণ শোধ করলেও পরবর্তীকালে গ্রাহকদের ফের ঋণ পেতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। গ্রাহকদের স্বার্থেই বিষয়টি বোঝানো হয়। লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সেক্রেটারি সুতপা মল্লিক বলেন, বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া আদালতে লোক আদালত বসেছে। মোট ১৯টি বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। ভালোই সাড়া মিলেছে।