কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেখ সাবের নামে এক বৃদ্ধ ৩০ মে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। সোমবার রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, রোগীর পরিবার রাজি হয়নি। মঙ্গলবার ওই রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর আত্মীয়রা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে প্রশিক্ষণরত এক নার্সিং পড়ুয়ার গায়ে মৃতের ছেলে শেখ বুলবুল ও আরও কয়েকজন হাত তোলে বলে অভিযোগ। ওই নার্সিং পড়ুয়াকে গালিগালাজেরও অভিযোগ উঠেছে। বাকিরা ছুটে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিসও উপস্থিত হয়।
হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, ওই রোগীর যতটা চিকিৎসা করা সম্ভব, তা করা হয়েছিল। তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর আত্মীয়রা রাজি হননি। বন্ড পেপারে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। শেষে রুটিনমাফিক একটা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরপর রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এক নার্সিং পড়ুয়া প্রশিক্ষণে এসেছিলেন। তাঁর হাত ধরে টানাটানি করা হয়। এমনকী, ওই পড়ুয়ার গায়ে হাত তোলা হয়। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ওই পড়ুয়ার মানসিক অবস্থা নিয়ে আমরা চিন্তিত। রোগীর আত্মীয়দের এই ব্যবহার আমরা মেনে নিতে পারছি না। মূলত তিনজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা পুলিসকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দোষীরা শাস্তি পাক, সেটাই আমরা চাই।
মৃতের এক আত্মীয়ের সাফাই, রোগীর মৃত্যুর পর কমবয়সীরা এই কাজটা করে ফেলেছে। সিউড়ি থানার এক আধিকারিক বলেন, একজনকে তৎক্ষণাৎ আটক করা হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক দোষীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।