কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কে হারবে, কে জিতবে সবই অনুমানের উপর রয়েছে। তবে কোনও দলের কর্মীরাই পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয় পরাজয় নিয়ে কেউই এবার নিশ্চিত নন। কিন্তু তাসা, টগরের বায়না করতে কোনও দলই পিছিয়ে নেই। বাদ্যকরদের বক্তব্য, যে দল হারে বায়নার পর আর সে দল দেখা করে না। এভাবে বহুবার ঠকেছি। তাই এবার আমরা ঠিক করেছি, বায়না নয়, চুক্তির পুরো টাকাটাই অগ্রিম দিতে হবে। তাতেও রাজনৈতিক নেতাদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। আর এভাবেই সোমবার দিন থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে তাসা, টগরের বায়না হয়েছে।
গণনার তিন চার রাউন্ডের পর থেকেই মূলত গণনাকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। প্রথম দিকে রাউন্ডের ওঠা নামাকে কেউ পাত্তা দেন না। শেষের দিকে রাউন্ডভিত্তিক গণনায় এগিয়ে থাকলেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে চড়াম চড়াম বাজনার শব্দে কান পাতা দায় হয়ে যায়। গণনাকেন্দ্রের বাইরে বাজনা নিয়ে সবপক্ষই প্রস্তুত থাকে। এর বাইরে গ্রামে গ্রামে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ফল ঘোষণার পর টগর, তাসা নিয়ে জয়ীরা রাস্তায় নামে। বাজনা, রং, আবিরে চলে বিজয় উল্লাস।
তৃণমূল সমর্থক বিকাশ মণ্ডল বলেন, ১৩ মে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। খুঁজে খুঁজে সাতজনের তাসার দল ঠিক করেছি। শেষ রাউন্ড গণনার আগেই বাতাসে সবুজ আবির উড়তে শুরু করবে। কংগ্রেস সমর্থক উদয় সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক শুধু সময়ের অপেক্ষা। বহরমপুর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড মঙ্গলবার টগর, তাসার বাজনায় মেতে উঠবে। গেরুয়া শিবিরের সমর্থক প্রসূন বিশ্বাস বলেন, কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকারে আসছে, এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ফলে এখানে লোকসভায় হারলেও কেন্দ্রে সরকারে আসার খুশিতেই পথে নামব বাজনা নিয়ে। নিমা গ্রামে তাসার দল রয়েছে অজিত বায়েনের। অজিতবাবু বলেন, বহরমপুর লোকসভায় এবার ত্রিমুখী লড়াই। ফলে এবার টগর তাসার দলের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে।