কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
রবীন্দ্র ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরায়ণে কবিগুরুর পাঁচটি বাড়ির অন্যতম শ্যামলী গৃহ ১৯৩৫সালে তৈরি হয়েছিল। লালমাটির এই জেলায় সেই সময় তীব্র গরমে বসবাস করা কষ্টকর ছিল। তার সমাধানের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজকে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানান। কবিগুরুর কথামতো শিল্পী মাটির মোটা দেওয়াল দিয়ে শ্যামলী গৃহ তৈরি করেন। ছাদটিও মাটির তৈরি। ফলে গ্রীষ্মকালে খুবই ঠান্ডা থাকত বাড়িটি। এই বাড়িতে এসে থেকে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী কস্তুরীবাই। সময়ের সঙ্গে বাড়িটির ক্ষতি হওয়ায় ২০১২সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়। পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া(এএসআই)কে বাড়িটি সংস্কারের দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫সালে সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খন্ড থেকে মাটির কাজে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে আসা হয়। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বাড়িটি সংস্কার করেছেন।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, শ্যামলী গৃহের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উপরাষ্ট্রপতি দ্বারোদ্ঘাটন করবেন। তারপর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বাড়িটি।