কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
তারাপীঠের মুণ্ডমালিনীতলার কাছে বাড়িতেই চেম্বার করে চুটিয়ে প্রাক্টিস করছেন এক ভুয়ো চিকিৎসক। বছর ষাটেকের ওই মুণ্ডমালিনীতলার কাছে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেছেন। নামের আগে ডাক্তার লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ও ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বাড়িতেই চেম্বার খুলে চুটিয়ে চিকিৎসা করে চলেছেন তিনি। হোমিওপ্যাথি ও অ্যালোপ্যাথি ছাড়াও দৈব্যশক্তিসম্পন্ন চিকিৎসাও করেন।
বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫জন রোগী তাঁর কাছে আসেন। কারও কাছে ৩০০, আবার কারও কাছে ৫০০টাকা পর্যন্ত ভিজিট নেন। তিনি আবার ‘জীবন্ত আবিষ্কার’ নামে একটি ছোট পুস্তিকাও প্রকাশ করেছেন। সেখানেও তাঁর নামের আগে ডাক্তার লেখা রয়েছে। ওই পুস্তিকায় তিনি দাবি করেছেন, দিল্লি বা ভেলর ফেরত নিরাশ রোগীদের তিনি অদ্ভূত দৈব্যশক্তিসম্পন্ন হোমিও চিকিৎসা ও ন্যাচরোপ্যাথি চিকিৎসায় লিভার, হার্ট, কিডনির রোগ সারিয়ে তোলেন। কিন্তু, রোগ নিরাময় না হওয়ায় ওই চিকিৎসককে ঘিরে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ জাগে। গত ১২জুলাই স্থানীয়রা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এসডিওর কাছে মাসপিটিশনও জমা দেন। অভিযোগ, তৎকালীন মহকুমা শাসক সিএমওইচকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য বললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে ২০জুলাই এলাকাবাসী ওই চিকিৎসকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ওইদিন তিনি যে চিকিৎসক তার কোনও প্রমাণপত্রও দেখাতে পারেননি ওই বৃদ্ধ।
রবীন্দ্রনাথ দাসের অভিযোগ, ওইদিন পুলিসকে ডাকা সত্ত্বেও তারা আসেনি। তাই সোমবার ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে জানাই। এর আগে প্রশাসনের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ, বিক্ষোভের ভিডিও office@didikebolo.com ইমেল নম্বর দিয়ে চেয়ে নেওয়া হয়। পরে আমাকে ডকেট নম্বর(DDK 95135482) দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও প্র্যাক্টিস করছি না। স্থানীয় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। এছাড়াও সাইন বোর্ড ও ভিজিটিং কার্ডে ‘ডাক্তার’ লেখা রয়েছে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ওটা ২০০৮ সালের আগেকার। তারপর থেকে আমি আরও কোনও প্র্যাক্টিস করছি না। তাঁর লেখা বইয়েতেও ‘ডাক্তার’ লেখা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সেটাও তিনি আগেকার বলে দাবি করেন।
যদিও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ পরমার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলাস্তরে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা তারাপীঠ এসে তদন্ত করে এসডিওর কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।