কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
গত সপ্তাহে পাহাড় ও সমতলে লাগাতার বৃষ্টি জেরে চরতোর্সার জলস্তর বেড়ে যায়। জলের তোড়ে গত রবিবার ভেঙে যায় চরতোর্সার ডাইভারসন। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় ফালাকাটা থেকে সরাসরি আলিপুরদুয়ারের যোগাযোগ। প্রায় পাঁচদিন পর জলস্তর কমে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকে ডাইভারসন মেরামতের কাজে নামে। রবিবার ডাইভারসন মেরামত করে একমুখী করা হয়। সংকীর্ণ ডাইভারসন দিয়ে কোনওরকমে ছোট গাড়ি চলার ব্যবস্থা করা হয়।
সাতদিন পর এক লেন দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ায় কিছুটা দুর্ভোগ কমেছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। আজ, সোমবার থেকে নিত্যযাত্রীরা এই পথ দিয়ে পারাপার করতে পারবেন। তবে এই ডাইভারসন সমস্যার সমাধান নয় বলে দাবি মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটির। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তপন বর্মন রবিবার বলেন, এক লেনের যে ডাইভারসন তৈরি করা হয়েছে তা সামান্য বৃষ্টি হলে আবারও ভেঙে যাবে। ফলে ভোগান্তি বাড়বে। আমরা চাই, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করুক। নাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।
যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সাতদিন টিউশন বন্ধ থাকার পর রবিবার টিউশন পড়তে যান কলেজ ছাত্রী সীমা দাস, সোনালি মণ্ডল, শিখা বর্মন। তাঁরা বলেন, দীর্ঘ প্রায় চারবছর ধরে আমাদের এই ভোগান্তি। বর্ষা এলেই ডাইভারসন ভেসে যাওয়ায় কলেজ যাওয়া, টিউশন পড়তে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আমার চাই, মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিক।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শাসক-বিরোধী সকলে মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, বিজেপির ফালাকাটা-২ মণ্ডল সভাপতি ভবেশচন্দ্র বালো, সিপিএম নেতা তপন বর্মন, আরএসপি নেতা নিখিলচন্দ্র বিশ্বাস, কংগ্রেস নেতা রাজেন্দ্র নার্জিনারি বলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান চাই। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, আমরা ডাইভারসন সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। প্রথমদিন ছোট গাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে ভারী যান চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সেতুর কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে।