কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পরের দিনই তদন্তে নামে সিআরএস। তিনি দু’বার ঘটনাস্থল নির্মলজোত পরিদর্শন করেন। রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল থেকে এনজেপি এডিআরএম অফিসে ঘাঁটি গাড়েন সিআরএস। শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিনি ছিলেন। পাঁচদিনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক, ট্রেন ম্যানেজার, রাঙাপানি স্টেশনের ম্যানেজার, তিনটি গেটের গেটম্যান, সিগন্যাল অপারেটর সহ অফিসার ও কর্মীদের বয়ান সংগ্রহ করেছেন। কখনও এককভাবে, আবার কখনও অফিসার ও কর্মীদের মুখোমুখি বসিয়ে বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এমনকী আলিপুরদুয়ার ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষকদের বয়ানও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কমিশনের মুখোমুখি হননি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনও আহত যাত্রী ও নির্মলজোতের গ্রামবাসী।
বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বসা তদন্ত কমিশন সম্পর্কে সেভাবে প্রচার করা হয়নি। তাই সাধারণ মানুষ কমিশনের কাছে হাজির হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম (কাটিহার) সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনের যাত্রীরা কিংবা গ্রামবাসীরা আসেননি। কেন তাঁরা কমিশনের মুখোমুখি হলেন না তা বুঝতে পারছি না। তবে ৪০ জনের বেশি রেলের অফিসার ও কর্মীর বয়ান নিয়ে দিল্লিতে ফিরে গিয়েছেন সিআরএস। তিনি মালগাড়ির আহত সহকারী চালকের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে গিয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্তের প্রয়োজনে কাউকে দরকার পড়লে দিল্লিতে তলব করতে পারেন সিআরএস। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে নির্মলজোতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শিয়ালদহগামী এই ট্রেনের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ঘটনায় রেলের কর্মী সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার পর স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ও টেলিফোন ব্যবস্থার তথ্য, ম্যানুয়াল সিগন্যালের চালান, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া কামরার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মালগাড়ির ইঞ্জিনের মেকানিক্যাল টেস্টও করানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খোলসা করতে পারেনি রেল। শুধু তাই নয়, কাদের গাফিলতিতে সেই ঘটনা ঘটেছে, তাও রেল জানাতে পারেনি। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রেল অবশ্য জানিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময় ঘটনা ট্রেন দুর্ঘটনাগুলির তদন্ত শেষ হতে এক থেকে তিনমাস সময় লেগেছে। এক্ষেত্রেও এমন সময় লাগবে। কারণ তদন্তে সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হচ্ছে। তবে তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জেরে দোষীরা পাড় পেয়ে যাবে এমনটা ভাবার কিছু নেই। অতীতের ট্রেন দুর্ঘটনায় অভিযুক্তদের যেমন শাস্তি হয়েছে, এখানেও তাই হবে।
এদিকে মালগাড়ির সহকারী চালক আহত অবস্থায় এখনও নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। জিআরপি জানিয়েছে, কিছুটা সুস্থ হলেই ওই সহকারী চালককে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি আজ, সোমবার থেকে রেলের অফিসার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।