কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক শিশিরকুমার সরকার বলেন, গ্রন্থাগারটি খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। পূর্তদপ্তরের সোস্যাল সেক্টর সাড়ে ৫৩ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। সেই প্রকল্প ডাইরেক্টরেট অফ লাইব্রেরি সার্ভিসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সাত লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প পূর্তদপ্তরের বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এই কাজগুলি হলে সুবিধা হয়। কোচবিহারের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকি বলেন, দুষ্প্রাপ্য পুঁথি ও গ্রন্থের এক বিশাল ভাণ্ডার এই গ্রন্থাগার। যেকোনও মূল্যে এই সম্পদকে রক্ষা করা সকলেরই কর্তব্য।
সম্প্রতি আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার কাজে এই গ্রন্থাগারে এসেছিলেন অনিন্দিতা ঘোষ। তিনি বলেন, দু’সপ্তাহ ধরে এখানে পড়েছি। এখানে রক্ষণাবেক্ষণ আরও ভালো হওয়া দরকার। গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১ লক্ষ ১১ হাজার বই রয়েছে। যার মধ্যে ১৬ হাজার দুষ্প্রাপ্য ও রাজ আমলের বই রয়েছে। সংস্কৃত, বাংলা ও অসমীয়া ভাষায় রচিত ২২৮টি পুঁথি রয়েছে। সাদাকালো, রঙিন ছবি মিলিয়ে এখানে ৫০টি ছবির বাক্স রয়েছে। যাতে দুই থেকে আড়াই হাজার ছবি রয়েছে। যেগুলি কোচবিহার মহারাজাদের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ, শিকার সহ নানা সময়ের। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অতীতের প্রামাণ্য দলিল। এই ছবিগুলি দেখার জন্য আবার বিশেষ একটি দূরবীন রয়েছে। যা দিয়ে টু ডায়মেনশন এই ছবিগুলি এখনও অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। রয়েছে ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দের সোনার জল করা বাইবেল।
মোট ২ বিঘা ১৪ কাঠা জমির উপর অবস্থিত এই গ্রন্থাগারটি উত্তরবঙ্গের সম্পদ। দু’তলা ভবনে ১৫টি কক্ষ রয়েছে। এখানে ১২টি পদ থাকলেও সুইপারের পদ অবলুপ্ত হয়েছে। ১১টি পদের মধ্যে চার জন রয়েছেন। এই অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে এই বিরাট গ্রন্থাগার পরিচালনা করতে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে বলে কর্মীদের দাবি। এদিকে এই গ্রন্থাগারেই ডব্লুবিসিএস কোচিং চলে। স্থানীয় ও দেশ-বিদেশের বহু গবেষকও এখানে গবেষণা সংক্রান্ত কাজে আসেন। তাঁরাও এই ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারের বেহাল দশা দেখে হতবাক হন। বিভিন্ন মহল থেকে গ্রন্থাগারটি দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে।