কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
কোচবিহার শহরের বহু নিকাশি নালাই অনেক দিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অধিকাংশ নালাই নিয়মিত সাফাই করা হয় না। কয়েক মাসের মধ্যে পুরসভা নির্বাচন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভার অনুন্নয়ন, বাসিন্দাদের দুর্ভোগ নিয়ে বিরোধীরা রাস্তায় নামবে। এটা আগেভাগে আঁচ করেই শাসক দল তৃণমূল এখন থেকেই শহরের নিকাশির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের ভূষণ সিং বলেন, আমরা পুরসভা এলাকার সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কার করব। ধারাবাহিকভাবে এই কাজ করা হবে। এই কাজ সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যেতে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইব। এটা যাতে নিয়মিত ঠিকঠাক হয় তাই তা দেখভালের জন্য একটি পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। এরসঙ্গে ভোটের কোনও ব্যাপার নেই। পুরসভা এলাকার বেশকিছু ওয়ার্ডে কালভার্ট তৈরি ও রাস্তা সংস্কারের কাজও আমরা শুরু করেছি। শহরবাসীর সুবিধার্তেই ওসব কাজ করা হচ্ছে।
কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বর্ষায় বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। বর্তমান বোর্ড কোনও কাজ করছে না। যেকারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
কোচবিহার পুরসভা এলাকার নিকাশি সমস্যার কারণে প্রত্যেক বছর শহরে বর্ষার সময়ে জল দাঁড়িয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের হাইড্রেনগুলি ঠিকঠাক পরিষ্কার করা হয় না। যেকারণে বৃষ্টির জল বেরতে পারে না। তাই বর্ষায় টানা বৃষ্টিতে নালা উপচে জল রাস্তায় চলে আসে এবং বাড়িতে ঢুকে যায়। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই শহরের রাজবাড়ি, সাগরদিঘি এলাকায় রাস্তায় সামনে জল দাঁড়িয়ে যায়। অধিকাংশ নালার ঢাল ঠিকমতো নেই। সেকারণে নালাতে জল দাঁড়িয়ে থাকে। ওসব জলে মশা, মাছি বংশবিস্তার করে। নিকাশি নালার বেহাল দশা নিয়ে পুরবাসী বিভিন্ন সময়েই সরব হন। বাসিন্দাদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভ পুরসভা ভোটের বাক্সে পড়তে পারে। এমনটা আঁচ করে বর্তমান পুরবোর্ড ঝুঁকি না নিয়ে এখন থেকেই নালা নিয়মিত সাফাই করা সহ ভাঙা অংশ সংস্কার, কালভার্ট বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পুরসভা নির্বাচনে বর্তমান বোর্ডের ব্যর্থতার দিকগুলি তুলে ধরে প্রচারে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরমধ্যে নিকাশির অব্যবস্থা, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটের বিষয়গুলি থাকছেই। ওসব ঢাকতেই বর্তমান বোর্ড এখন থেকেই কাজে নেমে পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।