কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
অবসর ঘোষণা করা নেতাদের মধ্যে একজন রিপাবলিকান দলীয় সদস্য জন সিমকাস। তিনি ইলিনয়ের ১৫তম ডিস্ট্রিক্টে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। গত ৩০ আগস্ট সেই সিমকাস তাঁর বিদায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। অবসর ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে মনোযোগ দিতে চান তিনি। সন ডাফি উইসকনসিনের সপ্তম ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধি। তিনি ডাকসাইটে ডানপন্থী রিপাবলিকান। গত ২৬ আগস্ট তিনি অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর কংগ্রেসে থাকছেন না তিনি। তাঁর স্ত্রী আবার সন্তান সম্ভবা। জটিল হার্ট কন্ডিশন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে তাঁর সন্তান, যার প্রতি মনোযোগ দেওয়াই মূলত তাঁর বিদায়ের কারণ, জানিয়েছেন ডাফি। ২০১১ সাল থেকে তিনি উত্তর উইসকনসিনের এই ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগে এই আসনটি দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত ছিল। ডাফির রক্ষণশীল অবস্থানের কারণে ২০১১ সালের পর থেকে এই আসনটি রিপাবলিকানদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে থাকে। এখন ডেমোক্র্যাটরা আবার এই আসনের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠছেন। কেনি মার্চেন্ট আরও এক রিপাবলিকান। দীর্ঘ আটবার জেতা কেনি মার্চেন্ট ঝানু প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। ৬৮ বছর বয়সি এই নেতা গত ৫ আগস্ট ঘোষণা করেছেন, আর নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন না। আরও যাঁরা রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন টেক্সাসের ২৩তম ডিস্ট্রিক্টের উইল হার্ড, ১১তম ডিস্ট্রিক্ট প্রতিনিধি মাইক কনওয়ে, আলাবামার মারথা রুবি, টেক্সাসের পিট ওলসন, মিশিগানের পল মিচল, ইন্ডিয়ানার কংগ্রেস-ওমেন সুসান ব্রুক, জর্জিয়া সপ্তম ডিস্ট্রিক্টের রব উডওল। এরা সবাই রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেস প্রতিনিধি। ডেমোক্র্যাটদের বিদায়ী দুই কংগ্রেসম্যান হচ্ছেন আইওয়ার প্রতিনিধি ডেভ লোয়াবাক ও নিউ ইয়র্কের প্রতিনিধি হোসে সেরানো। এই যে পাঁচজন সেনেটর ২০২০ সালের আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা করেছেন, তাঁদের মধ্যে চারজনই রিপাবলিকান।
২০২০ সালের নভেম্বরের ভোটে ডেমোক্র্যাটরা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চান। তারা গত বছরের নির্বাচনে কংগ্রেসের মতো সাফল্য আশা করছেন আসন্ন সেনেটের নির্বাচনেও। সেনেটে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা শুধু প্রতিরোধই করতে সক্ষম হয়েছে তা নয়, ডেমোক্র্যাটদের দুই আসনে জয়ীও হয়েছিলেন তারা। তবে অনেকেই বলা শুরু করেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচন অবশ্য মধ্যবর্তী নির্বাচন থেকে ব্যতিক্রম হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে থাকার কারণে ভোটারদের প্রভাব পড়বে এই নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে চারটি আসন পেতে হবে ডেমোক্র্যাটদের। তবে হোয়াইট হাউস তাদের দখলে চলে এলে তিন আসন হলেই চলবে। তথ্য বলছে, ১২ আসনে ডেমোক্র্যাট ও ২২টিতে রিপাবলিকানরা পুনর্নির্বাচন করছেন। অধিকাংশ রিপাবলিকান আসনই রেড (রিপাবলিকান) স্টেটগুলোতে, যেখানে ট্রাম্প অতীতে জিতেছিলেন। ওই আসনগুলোর সেনেটরদের অবসর নেওয়ার ঘোষণায় ডেমোক্র্যাটরা অনেকটা আশাবাদী।
অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন জর্জিয়ার রিপাবলিকান সেনেটর জনি আইসাকসন। মূলত স্বাস্থ্যগত কারণে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা করেছেন ৭৪ বছর বয়সি মার্কিন নেতা। ওয়াইমিংয়ের মাইক অ্যানজি, ৭৫ বছরের এই নেতা গত মার্চে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন। নিজের শহরে একটা জুতোর দোকান আছে তাঁর। তিনি বলেন, তাঁর কোনওদিনই রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল না। অবশ্য এই আসনটি ধরে রাখতে পারে রিপাবলিকানরা। নিউ মেক্সিকোর টম ইউডাল। ডেমোক্র্যাট দলীয় সেনেটর ইনি। অবসরে যাচ্ছেন বলে ঘোষণা করেছেন গত মার্চে। ডেমোক্র্যাটরা আসনটি ধরে রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউডাল মনে করেন, তিনি আরও একবার জিততে পারতেন। তবে একইসঙ্গে বলেছেন, ‘একজন আইন প্রণেতার সবচেয়ে বাজে কাজ হচ্ছে, তার আসনটিকে জনগণের নয়, তার নিজের ভাবা।’ প্যাট রবার্টস ক্যানসাসের রিপাবলিকান সেনেটর। ৮২ বয়সে অবসরে যাচ্ছেন। এই অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটরা ভালো করেছে গত মধ্যবর্তী নির্বাচনে। ২০২০ সালে এই আসনটি ডেমোক্র্যাটদের হাতে চলে যাবে, এমন গুঞ্জন রয়েছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের সেনেটর লামার আলেক্সান্ডার। শক্তিমান এই নেতা প্রায় সিকি শতাব্দী ধরে মার্কিন সেনেটে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রমসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সেনেট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন এই রিপাবলিকান গভর্নর। অবসরে নেওয়ার ঘোষণা করেছেন ২০১৮ সালে। ২০২০ নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন না তিনিও। ট্রাম্পের অবশ্য এসবে কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি আছেন তাঁর মতোই!