কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
১৯৫০ সালে জলপাইগুড়ি পিডি ওমেন্স কলেজ স্থাপিত হয়। উত্তরবঙ্গের মহিলা শিক্ষার অগ্রগতিতে এই কলেজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কলেজের কৃতী ছাত্রীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও এই কলেজের নাম রয়েছে। আদিবাসী সমাজের প্রচুর ছাত্রী এই কলেজে পড়াশুনা করেন। টোটো জনজাতির প্রথম গ্র্যাজুয়েট মহিলা রীতা টোটো এই কলেজের ছাত্রী। সঞ্চিতা টোটো ইংরেজিতে স্নাতক হয়েছেন এই কলেজ থেকেই। এই কলেজের ছাত্রী শাশ্বতী গুহরায় ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্যারা ওলিম্পিক গেমস অংশ গ্রহণ করেন। এবছর তাইকুন্ডতে মনস্বিতা ভট্টাচার্য রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অতসী রায় ব্যাডমিন্টনে বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কবাডি, খোখো, সহ বিভিন্ন খেলায় কলেজের মহিলা দল রয়েছে। কলেজটি ৫.৬ একর জমিতে অবস্থিত হলেও নিজস্ব খেলার মাঠ নেই। মাঠ না থাকার কারণে অনুশীলনে সমস্যা হয় ছাত্রীদের।
খেলার মাঠের সমস্যা ছাড়া কলেজের পরিকাঠামোগত নানা সমস্যা রয়েছে। কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কলেজে ৩৪০০ জন ছাত্রী রয়েছে। ৩৭টি ক্লাসরুম রয়েছে। আরও ১৬টি ক্লাস রুম তৈরি হচ্ছে। তবে ৭০টির বেশি রুম প্রয়োজন। প্রাণীবিদ্যায় প্র্যাকটিক্যাল রুমের প্রয়োজন রয়েছে। ১৪টি বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয় কলেজে। ৪৩ জন শিক্ষিকা, ২৫ জন অতিথি শিক্ষিকা এবং ১৪ জন আংশিক সময়ের শিক্ষিকা কলেজে পড়ান। আরও শিক্ষিকার প্রয়োজন রয়েছে। দু’বছর ধরে এই কলেজে পর্যটন, অ্যাভিয়েশন ও হসপিটালিটি বিষয়ে সেল্ফ ফিনান্সিং কোর্স পড়ানো হয়। ১৮ জন ছাত্রী এই বিষয়গুলিতে পড়াশুনা করছে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাক ২০০৬ সালে এই কলেজকে বি প্লাস প্লাস গ্রেডিং করেছে। কলেজের উন্নয়নের জন্য দু’কোটি টাকাও তারা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকায় মেয়েদের হস্টেল সংস্কার, কম্পিউটার, লাইব্রেরি প্রভৃতি বানানো হচ্ছে।