কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এইডস থেকে রক্তদান বা পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলা-মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবেই লোকগানের পালা বেধে চলছে স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে প্রচার। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্যোগে এভাবেই হাসপাতালে হাসপাতালে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন লোকশিল্পীরা। এর মধ্যে থাকছে গম্ভীরা ও আলকাপের সুর। লোকশিল্পীদের ছন্দবন্ধ সুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে বাসিন্দারা মুগ্ধ হচ্ছেন। পালার মধ্যে মানুষের জীবনের বাস্তবতা উঠে আসায় সাফল্য আসছে স্বাস্থ্যদপ্তরের এই কর্মসূচিতে। একেবারে গ্রাম্যভাষায় এই প্রচার জেলাজুড়েই চলছে। শুক্রবার মালদহের মুচিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এভাবেই পালার আয়োজন হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।
এবিষয়ে মুর্শিদাবাদের লোকশিল্পী টিটু ঘোষ বলেন, মালদহ জেলার স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতার বার্তা দিতে এধরনের কর্মসূচি চালচ্ছি। যেখানে পালা বেঁধে গান করি, সেই টানেই প্রচুর মানুষ ভিড় করে শোনেন। আমরা স্বাস্থ্য সচেতনতায় মানুষের জীবন কাহিনী পালার মধ্যে তুলে ধরছি। যে কারণে অনেকে সাড়া দিচ্ছেন।
মালদহের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, জেলার প্রতিটি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সচেতনতায় গম্ভীরা লোকশিল্পী ও আলকাপ দল দিয়ে গানের পালা বেঁধে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় চলতি শব্দে তৈরী গানের মাধ্যমে শিল্পীরা এধরনের প্রচার করায় অনেকেই সচেতন হচ্ছেন। এইডস থেকে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া বা রক্তদান, সবকিছু নিয়েই প্রচার করা হচ্ছে।
পুরাতন মালদহের বিএমওএইচ সৌভিক দাস বলেন, মৌলপুর, মুচিয়া ও যাত্রাডাঙা, এই তিনটি হাসপাতালে একাধিক রোগ মোকাবেলায় প্রচার করা হচ্ছে। এদিন মুচিয়াতে প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, গানের মাধ্যমে বিষয়টি মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে এধরনের উদ্যোগ কাজে আসছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এইডস থেকে শুরু করে রক্তদানের মতো বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লোকশিল্পীরা গান তৈরী করেছেন। যেখানে মানুষ যে ভাষাতে বেশি অভ্যস্ত, সেখানে সেধরনের ভাষা প্রয়োগ করেই শিল্পীরা পালা বাঁধছেন। অনুষ্ঠান শুরু হলে অনেকেই আকৃষ্ট হয়ে এগিয়ে আসছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।