কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি পুরসভায় আশাতীত সাফল্য পায় বিজেপি। সেই সাফল্যকে ভর করে পুরসভা দখলের স্বপ্ন দেখছে তারা। পুরসভা নির্বাচনে রণনীতি তৈরি করতে শনিবার জলপাইগুড়ি শহরে একটি হোটেলে শহরের কর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বিজেপি। সেই বৈঠকে জেলা নেতত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয়। প্রশাসন ইতিমধ্যে পুরসভার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই ভোটযুদ্ধ শুরু হবে। কিন্তু এখন অবধি কোনও শহর মণ্ডল সভাপতি ঘোষণা করা হয়নি। শহর মণ্ডল সভাপতি না থাকায় নেতৃত্বহীন হয়ে রয়েছে শহরের কর্মীরা। পুরসভার তৃণমূল বোর্ডের একাধিক ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও এনিয়ে কোনও আন্দোলন করা হয়নি। ওয়ার্ডের পরিষেবা নিয়েও কোনও আন্দোলন গড়ে তোলেনি বিজেপি নেতৃত্ব। সেই অর্থে কোনও মিটিং-মিছিল করা হচ্ছে না শহরে। বিরোধীরা আসন্ন পুরভোটকে ঘিরে একাধিক কর্মসূচি নেওয়ার পরে বিজেপি কিছু না করাতে হীনমন্যতায় ভুগছেন সাধারণ কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, ওয়ার্ডের যোগ্য নেতৃত্বকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এদিনের কর্মীদের বিদ্রোহে কার্যত ম্রিয়মান হয়ে পড়েন বাপীবাবু।
সভায় বাপীবাবু দাবি করেন, কোনও অনৈতিক কাজ না করলে তিন বছর দলের সভাপতি থাকবেন তিনি। তারপরে অন্য জন দায়িত্বে আসবেন এই পদে। তাই সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা তিনি দেন। রাজনীতিতে চিরশত্রু বা চিরমিত্র বলে কেউ থাকে না। লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার পরে পুরসভায় কোনও আসন জিততে না পারলে শুধু তিনি নন সবাইকে রাজ্য নেতৃত্বের কথা শুনতে হবে। কোনও ওয়ার্ডেই তাঁর নিজস্ব কোনও পছন্দের প্রার্থী নেই। ওয়ার্ডে বসেই দলীয় প্রার্থী ঠিক করা হবে। শুধু তৃণমূল নয় বাম কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে জোর প্রচার চালাতে হবে। রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিলেই মণ্ডল সভাপতি ঘোষণা করা হবে। পুরভোট নির্বাচন নিয়ে কর্মীদের বার্তা তিনি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। মণ্ডল সভাপতি না হলে যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে নির্বাচনে লড়াই করা হবে কি না সেটা রাজ্য নেতৃত্বই ঠিক করবে।