কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
তা বলে ৬০ বছরের মহিলা, যাঁর স্বামী, সাত সন্তান, এমনকী সাতজন নাতি নাতনিও রয়েছেন! তাঁর সঙ্গে এভাবে প্রেমের পরিণতি কী? কিন্তু প্রেমে পড়লে পরিণতি নিয়ে অবশ্য ভাবতে নারাজ ওই যুবক। তিনি এখন ওই বৃদ্ধার প্রেমেই কার্যত হাবুডুবু খাচ্ছেন। অন্যদিকে ওই বৃদ্ধাও সাফ জানিয়েছেন তিনি ওই ছেলেকেই বিয়ে করতে চান। এমনকী তার জন্য তিনি সব বন্ধন কাটাতেই প্রস্তুত।
তবে বিষয়টি শুধুই প্রেমেই আটকে থাকেনি। মাঝেমধ্যেই ঘুরতেও যান যুগলে। আর সাত নাতি-নাতনির ‘ঠাকুমা’ স্বপ্ন দেখেন তাঁর ২২ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধারও। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ‘ঠাকুর্দা’ ঘটনার কথা জানতে পেরেই রীতিমত গোটা পরিবার নিয়ে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁদের এ হেন আচরণে আপত্তি তোলেন প্রতিবেশীরাও। এমনকি বিষয়টি থানা পর্যন্তও গড়ায়। ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলার স্বামী ও ছেলে। তদন্তের নিয়মে আটকও করা হয় প্রেমিক যুবকটিকে। এ যেন কোনও রোমান্টিক সিনেমার দৃশ্য। আর সেই দৃশ্যে ‘হিরো’কে থানায় আটকে রাখলে রিল লাইফে আকছার ছুটে আসেন ‘হিরোইন’। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটল। ‘ঠাকুমা’ও তাঁর প্রেমিককে বাঁচাতে ছুটে আসেন থানায়। পুলিসের সামনে নিজেদের প্রেমকাহিনীও শোনান অকপটে। জানান, তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। অনুরোধ করেন যুবককে যেন জামিন দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পুলিস তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রেমিক যুবকটিকে জামিন দিয়ে দেয়। তবে পাশাপাশি, দু’জনকেই এই অসমবয়সী প্রেমের ইতি টানার পরামর্শও দেয়।