কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, চলতি বর্ষে ১ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন ৫৫ হাজারের বেশি মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। প্রায় ৩৫ শতাংশ ধান ২৯ হাজার চাষির কাছ থেকে কেনা হয়েছে। বর্তমানে ৫২টি সঙ্ঘ ধান কিনছে সেই সংখ্যা ১০০টি সঙ্ঘকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। ধান নিয়ে চাল দেওয়াতে ব্যর্থ হওয়াতে চালকলগুলি সিল করতে নির্দেশ দিয়েছি।
অক্টোবর মাস থেকে চাষিদের ধান কেনার বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন শুরু করে খাদ্যদপ্তর। সেপ্টম্বর মাস পর্যন্ত ধান কেনার প্রক্রিয়া জারি থাকে। এই বছর প্রায় দেড়লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হলেও আপাতত ৩৫ শতাংশ ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ধান কিনতে জোর দেওয়াতে এই কাজে গতি এসেছে। জেলায় বর্তমানে ৫২টি সঙ্ঘ ধান কিনছে। ১০০টি সঙ্ঘকে ধান কেনার জন্য নিয়োগ করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। ধান কেনায় গতি নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চালকলের মালিকরা চাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী চালকল সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, চারটি চাল কলের মালিককে এদিন বৈঠকে ডাকা হয়। এরমধ্যে তিনটি চালকল গত আর্থিক বছরে ধান নিয়ে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে প্রশাসন। দশদরগায় অবস্থিত দু’টি চালকল ৯৭১ মেট্রিক টন ও ৩২১ মেট্রিক টন আতপচাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কড়া সর্তক করা হয়েছে। দ্রুত সরকারি চাল ফেরত দিতে না পারলে চালকল সিল করে সরকারি চাল উদ্ধার করবে প্রশাসন। ময়নাগুড়ির জল্পেশে অবস্থিত একটি চালকল ২১৯৭ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল দিতে না পারায় সেটিকে সিল করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে মালিককে গ্রেপ্তার করে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে চালের টাকা উদ্ধার করবে প্রশাসন। অন্য একটি চালকল এই আর্থিক বছরে চাল দেওয়ার সুযোগ থাকায় তাদের সর্তক করা হয়। চাল দেওয়া নিয়ে গড়িমসি রুখতে আরও কড়া হয়েছে তারা। আতপচালের জন্য ন্যূনতম ৫০ লক্ষ ও সেদ্ধচালের জন্য ন্যূনতম এক কোটি টাকা খাদ্যদপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের ফাঁকা চেকও খাদ্যদপ্তরকে দিতে হবে। চাল দিতে ব্যর্থ হলে সেই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।