কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এদিকে, ফালাকাটা বিধানসভার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। কৃষিজ ফসল বিক্রিতে ফালাকাটার রায়চেঙ্গা কৃষিমান্ডি রাজ্যের কৃষক বাজারের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মতে, হাল চাষ করেন যিনি তিনিই ‘হালুয়া।’ তাই দলের এই আসন্ন মেগা র্যালিতে শাসক দল ৭০ শতাংশ হালুয়া অর্থাৎ কৃষককে শামিল করার টার্গেট নিয়েছে। তৃণমূলের কিষাণ সেলের কৃষক সদস্যরা কাঁধে লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে দলের এই মেগা র্যালিতে হাঁটবেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ফালাকাটা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মেগা র্যালি হবে। মেগা র্যালিতে উপস্থিত থাকবেন দলের তিন মন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৌতম দেব।
মৃদুলবাবু বলেন, কাউকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের এই মেগা র্যালি হচ্ছে না। তবে আমাদের এই মেগা র্যালি দেখে বিরোধীরা বুঝতে পারবে ফালাকাটার উপনির্বাচন আমরাই জিতছি। বিজেপি’র মতো বাইরে থেকে লোক এনে আমরা র্যালি করব না। ফালাকাটার ১৩টি পঞ্চায়েতের মানুষকে নিয়েই এই র্যালি হবে।
দল জানিয়েছে, মেগা র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ৭০ শতাংশ মানুষই থাকবে কৃষক। সেজন্য শনিবার ফালাকাটার টাউন হলে তৃণমূল কিষাণ ক্ষেত মজদুর সংগঠনের একটি প্রস্তুতি সভাও হয়। সভাতে কিষাণ ক্ষেতমজদুর সংগঠনের ফালাকাটা ব্লক কমিটির তরফে ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচনে কৃষক পরিবার থেকে দলের প্রার্থী করার দাবি ওঠে। এদিন ওই সভাতে দলের নব নির্বাচিত ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মনকে সংবর্ধনাও জানানো হয়।
কিষাণ ক্ষেত মজদুর সংগঠনের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সুনীল রায় বলেন, দলের মেগা র্যালির ভিড়ের ৭০ শতাংশই থাকবে কৃষক। কাঁধে লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে আমরা র্যালিতে শামিল হব।
সুনীলবাবু বলেন, ফালাকাটার ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই আমাদের দাবি, ফালাকাটার উপ নির্বাচনের প্রার্থী করতে হবে কৃষক পরিবার থেকে। যাতে উপ নির্বাচনে জিতে যিনি কৃষকদের সমস্যার কথা বুঝতে পারেন। কৃষকদের হয়ে কাজ করেন। দলের ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মন বলেন, দলের কিষাণ সেলের এই দাবির কথা দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।