সিডনি, ১০ ফেব্রুয়ারি (এএফপি): দাবানলের মোকাবিলায় প্রবল বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়ায় যেন আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু, হড়পা বানে জেরবার নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ক্যুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দারা। বৃষ্টির তোড়ে দাবানলের হাত থেকে রেহাই মিললেও ঝড়-জলের দাপটে সেখানকার জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ১১ ফেব্রুয়ারি: দত্তক নেওয়া সন্তানকে খুনের ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত লন্ডনের দম্পতিকে ভারতে প্রত্যর্পণ নয়। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় ভারত সরকারের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে ব্রিটেনের হাইকোর্ট। বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন, মানবাধিকারের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। ২০১৭ সালে গুজরাতে ওই দম্পতির দত্তক নেওয়া ১১ বছরের ছেলে গোপাল সেজানিকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগ, বিমার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই খুনের ষড়যন্ত্র করেন লন্ডনের হানওয়েলের বাসিন্দা ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরতি ধির (৫৫) এবং তাঁর স্বামী কাভাল রায়জাদা (৩০)। দু’জনেই অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রিটেনের আদালতে ওই দম্পতির প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারের আর্জি খারিজ হয়ে গেল।
জানা গিয়েছে, বাসিন্দা এই নিঃসন্তান দম্পতি ২০১৫ সালে গুজরাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁরা শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাতে দত্তক সন্তানকে লন্ডনে প্রতিপালনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আরতি-কাভাল। তারপর তাঁদের সঙ্গে গোপালের দেখা হয়। দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্গে থাকত গোপাল। গুজরাত পুলিসের দাবি, দত্তক সন্তানকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অন্য পরিকল্পনা ছিল ওই দম্পতির। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আরতি-কাভাল গোপালের নামে প্রায় দেড় লক্ষ পাউন্ডের একটি বিমা করান। শর্ত ছিল হয় ১০ বছর পর অথবা গোপালের মৃত্যুতে ওই টাকা পাওয়া যাবে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাতে একটি মোটরবাইকে দু’জন দুষ্কৃতী গোপালকে অপহরণ করে। পরে একটি রাস্তায় তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অপহরণের সময় বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন গোপালের জামাইবাবু হরসুখ কারদানি। পরে হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় আতরি ও কাভালের বিরুদ্ধে ভারতে খুনের ষড়যন্ত্র, অপহরণ সহ ছ’টি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর জুন মাসে ভারত সরকারের অনুরোধে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটেনের পুলিস। এখনও মামলাটি চলছে। বিচারের জন্য দম্পতিকে প্রত্যর্পণের আর্জি জানায় ভারত সরকার। ২০১৯ সালের ২ জুলাই ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস’ কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ভারত সরকার।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ভারতে দু’টি খুনের শাস্তি প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ব্রিটেনের আইনে তা মানবাধিকার বিরোধী। এই কারণেই প্রত্যর্পণের আর্জি মানা সম্ভব নয়। তবে কঠোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে না, এই আশ্বাস পেলে ভারত সরকার ফের প্রত্যর্পণের আর্জি জানাতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন লর্ড বিচারপতি জেমস ডিঞ্জেন্যান্স এবং বিচারপতি রবিন স্পেন্সার।
জানা গিয়েছে, বাসিন্দা এই নিঃসন্তান দম্পতি ২০১৫ সালে গুজরাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁরা শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাতে দত্তক সন্তানকে লন্ডনে প্রতিপালনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আরতি-কাভাল। তারপর তাঁদের সঙ্গে গোপালের দেখা হয়। দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্গে থাকত গোপাল। গুজরাত পুলিসের দাবি, দত্তক সন্তানকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অন্য পরিকল্পনা ছিল ওই দম্পতির। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আরতি-কাভাল গোপালের নামে প্রায় দেড় লক্ষ পাউন্ডের একটি বিমা করান। শর্ত ছিল হয় ১০ বছর পর অথবা গোপালের মৃত্যুতে ওই টাকা পাওয়া যাবে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাতে একটি মোটরবাইকে দু’জন দুষ্কৃতী গোপালকে অপহরণ করে। পরে একটি রাস্তায় তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অপহরণের সময় বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন গোপালের জামাইবাবু হরসুখ কারদানি। পরে হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় আতরি ও কাভালের বিরুদ্ধে ভারতে খুনের ষড়যন্ত্র, অপহরণ সহ ছ’টি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর জুন মাসে ভারত সরকারের অনুরোধে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটেনের পুলিস। এখনও মামলাটি চলছে। বিচারের জন্য দম্পতিকে প্রত্যর্পণের আর্জি জানায় ভারত সরকার। ২০১৯ সালের ২ জুলাই ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস’ কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ভারত সরকার।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ভারতে দু’টি খুনের শাস্তি প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ব্রিটেনের আইনে তা মানবাধিকার বিরোধী। এই কারণেই প্রত্যর্পণের আর্জি মানা সম্ভব নয়। তবে কঠোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে না, এই আশ্বাস পেলে ভারত সরকার ফের প্রত্যর্পণের আর্জি জানাতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন লর্ড বিচারপতি জেমস ডিঞ্জেন্যান্স এবং বিচারপতি রবিন স্পেন্সার।
