কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, সঞ্জীব মুখিয়ার গ্যাংয়ের সদস্যরা হাজারিবাগ শহরকে ‘সেফ জোন’ হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তাদের কার্যকলাপ শুধু ঝাড়খণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বিহারেও একইভাবে কাজ করে এই গ্যাং। এর আগে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসি)-এর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল তারা। পরে সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জীবের ছেলে শিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখনও জেলবন্দি। কিন্তু তাতেও যে এই গ্যাং তাদের কাজ থামায়নি, নিট দুর্নীতির পর তা স্পষ্ট বলে মনে করছে বিহার পুলিস। আদতে বিহারের নালন্দার বাসিন্দা সঞ্জীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি নিটের আগের দিন ২৫ জন পরীক্ষার্থীকে পাটনার একটি স্কুলের হস্টেলে রাখেন। সেখানেই ওই পরীক্ষার্থীদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র দেওয়া হয়। নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা জানাজানি হওয়ার পরেই পলাতক সঞ্জীব। তাঁকে খোঁজার জন্য বিহারের নালন্দা, গয়া, নাওয়াদা জেলার পুলিসকে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর ছবি সহ লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে। তবে এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিসের একটি সূত্রের খবর, নেপালে পালাতে পারেন সঞ্জীব।
অন্যদিকে, আর বিহার পুলিসের তথ্যের ভিত্তিতেই রবি অত্রি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ। রবির ‘সলভার গ্যাং’ও নিট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগেই পড়ুয়াদের প্রশ্নের সমাধান সহ উত্তর সরবরাহ করত এই গ্যাং। পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, সিনেমার কায়দায় ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসত। পুলিস জানতে পেরেছে, বেশি টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘মুন্নাভাই’ জোগাড় করত রবির গ্যাং। এর জন্য ওই পরীক্ষার্থীদের মতোই দেখতে একজনকে জোগাড় করত তারা। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হতো যে, ‘মুন্নাভাই’রা তাদের থেকে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাবে।