শ্রীনগর ও জম্মু: হাতে মাত্র সাতদিন। তারপরই শুরু হবে বহু প্রতীক্ষিত অমরনাথ যাত্রা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা। এদিন সকালে অমরনাথ যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রথম পুজোয় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর সিনহা জানান, ‘২৯ জুন থেকেই গোটা দেশের পুণ্যার্থীরা বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন। শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। বিগত দু’বছর ধরেই যাত্রা অনেক বেশি সুগম ও সহজ হয়েছে।’ মূল মন্দির যাওয়ার রাস্তার বেশ কিছু জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় পুন্যার্থীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। কিন্তু, এবার তা মিটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর। বলেন, ‘একাধিক জায়গায় রাস্তা চওড়া করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন।’ এবারও অমরনাথ যাত্রা সফল করতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মূলত দু’টি রুট দিয়েই ৫২ দিনের এই অমরনাথ যাত্রা চলবে। জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে অনন্তনাগের নুওয়ান-পহেলগাঁও হয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্থ পেরিয়ে মন্দিরে পৌঁছনো যাবে। পাশপাশি, গান্ধেরবালের বানতাল হয়েও সেখানে পৌঁছতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। দ্বিতীয়টিতে ১৪ কিলোমিটার কম দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে তাঁদের। সিনহা এদিন জানিয়েছেন, যে এলাকা দিয়ে ভক্তরা যাবেন, সেখানকার স্থানীয়দের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনে করিয়ে দিয়েছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ যাত্রা গোটা বিশ্বের কাছে জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে। এদিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন জম্মুর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিস আনন্দ জৈন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিসের একাধিক শীর্ষ কর্তা।