কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এর আগে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী। মমতার লড়াই-সংগ্রামকে কুর্ণিশ জানিয়েছিলেন দেশের রাজনীতিতে পোড়খাওয়া এই নেতা। রাজনৈতিক মহলে খবর, মমতা ও সুব্রাহ্মণ্যমের সম্পর্ক যথেষ্ট মধুর। ফলে সুব্রাহ্মণ্যমের এদিন কবিতাবিতান বইয়ের সূত্র ধরে মমতার প্রশংসাসূচক মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম। কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে মমতার কাছে বিশেষ কোনও বার্তা এসেছে কি না, সেটা নিয়েও জোর চর্চা চলছে।
এদিকে লোকসভার ভোট পর্ব মেটার পর বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তা তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। যে চিঠিতে মমতা লিখেছেন, এই জয় বাংলার জয়, বাংলার উন্নয়নকামী মানুষের জয়। বিভেদকামী শক্তিদের প্রতিহত করে একতা, ঐক্য ও সংহতির জয়। উন্নয়ন আর প্রগতির স্বার্থে আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের এই ঐতিহাসিক রায় তাই সর্বোপরি, ন্যায় ও সত্যের জয়। চিঠিতে মমতা আরও লিখেছেন, বাংলাকে আরও গৌরবশালী আরও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের সহযোগিতা ও শুভকামনাকে সঙ্গে নিয়ে এই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এই চিঠির সূত্র ধরে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির শীর্ষ নেতারা ভোট প্রচারে এসে বলেছিলেন বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু বিজেপি নেতারা ভুলে গিয়েছেন, বাংলার দুর্গোপুজো বিশ্বের দরবারে আজ স্বীকৃতি পেয়েছে। আর এই স্বীকৃতির পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র সরকারের অবদান অনস্বীকার্য।