কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
দেশের আক্রান্তদের পাঁচভাগের একভাগই রয়েছেন মহারাষ্ট্রে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে, এদিন বিকেল পর্যন্ত সে রাজ্যে সংক্রমণের মোট শিকার ১ হাজার ১৮। দেশের মধ্যে সর্বাধিক, ৬৪ জন মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেশের বাণিজ্যনগরীকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। মুম্বইতে এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯০। তার মধ্যে ২৮২ জন বৃহন্মুম্বই পুরসভার চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় পুনেতেও মারা গিয়েছেন ৬ জন। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৪। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে বাড়ির বাইরে বেরলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। নির্দেশ না মানলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় (সরকারি নির্দেশ অমান্য) গ্রেপ্তার করা হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারেও এদিন রাজ্যের মানুষের কাছে একই অনুরোধ করেছেন। এদিন তাঁর ভাষণেও উহানের মতো ৭০-৭৫ দিন লকডাউনের কথা শোনা গিয়েছে। দিল্লিতে ২০টি হটস্পট সিল করা হয়েছে। বাইরে বেরলে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯০। দিল্লিতে রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬। ৯ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের নিরিখে এর পরে রয়েছে, তেলেঙ্গানা (৪২৭), উত্তরপ্রদেশ (৩৪৩), কেরল (৩৩৬), রাজস্থান (৩২৮) ও অন্ধ্রপ্রদেশ (৩০৫)। মৃত্যুর সংখ্যায় অবশ্য মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশ। দুই রাজ্যেই ১৩ জন করে মারা গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিজামুদ্দিনের সভা থেকে ফেরা এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের আটজন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ৫ জেলার হটস্পট আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে।
মৃত ও আক্রান্ত পাল্লা দিয়ে বাড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিকে হাসপাতাল তৈরি, নজরদারি এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মজুত রয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৭ জনকে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। সেখানকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও কম। ফলে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুহার বেশি, একথা জোর দিয়ে বলা যাবে না।