মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, পুলকারটি ছিল স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের। ভ্যানটিতে মোট ১২ জন পড়ুয়া ছিল। সবার বয়স ১০-১২ বছরের মধ্যে। স্কুলছুটির পর ছাত্রদের বাড়ি ফেরানোর পথে আগুন লাগে ভ্যানটিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই ভ্যানটি দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। ভ্যানটি থামিয়ে দরজা খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চালক। কিন্তু ব্যর্থ হতেই তিনি চম্পট দেন। রাস্তার পাশের মাঠে কর্মরত কৃষকরা এসে কোনওরকমে দরজা ভেঙে পড়ুয়াদের উদ্ধার করেন। তাঁদের চেষ্টাতেই আটজনের প্রাণ বাঁচে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় চার পড়ুয়া। তাদের একজন তিন বছরের শিশুকন্যা রয়েছে। এদিন প্রথম স্কুলে গিয়েছিল সে। ঘটনাচক্রে সাংরুর বিধায়ক বিজয় ইন্দর সিংলা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ভ্যানটি অনেক পুরনো। সম্প্রতি সেটি কিনেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কেন তারা ভ্যানটিকে পরিবহণের কাজে ব্যবহার করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার পরই এক ট্যুইটবার্তায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। মৃত পড়ুয়াদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্কুলভ্যানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘স্কুলভ্যানে আগুন লাগার ঘটনায় গাফিলতির প্রমাণ মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ভ্যানটির অনুমোদন নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কোনও কর্মী অনৈতিক কাজ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।