মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বর্তমানে দেশের কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মী থাকলেই সেই সংস্থাগুলি ইপিএফওর আওতায় চলে আসে। ওইসব কর্মীর মধ্যে যাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের মতো এই সরকারি সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আওতায় থাকে। প্রতি মাসে একজন গ্রাহক তাঁর মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফের প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) হিসেবে জমা দেন। ওই গ্রাহকের হয়ে তাঁর সংস্থা কর্তৃপক্ষ আরও ১২ শতাংশ অর্থ কন্ট্রিবিউট করেন। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ যায় সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের পেনশন খাতে এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ যায় তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আওতাভুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বা বেতন থেকে নির্দিষ্ট হারে কন্ট্রিবিউশন কেটে নেওয়ার পর প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে তা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে জমা করতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা-প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ, অনেক সময়ই বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থাগুলি তা জমা দেয় না। ফলে প্রয়োজনের সময় অথবা অবসরগ্রহণের পর ইপিএফের টাকা তুলতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় শ্রমিক-কর্মচারীদের। এবার আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইপিএফ মেটানোর ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালুর ভাবনা নিয়োগকর্তাদের আরও সুবিধা দিল।
সরকারি সূত্রের খবর, অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কোনও সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে ‘ক্লোজার’ হয় অথবা কলকারখানা লক-আউট হয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই সময় বেতনও পান না শ্রমিক-কর্মচারীরা। বেতন না পাওয়ার অর্থ, তা থেকে নির্দিষ্ট হারে কন্ট্রিবিউশনও কাটা হয় না। ফলে সেই সময়ে ইপিএফ বকেয়া মেটাতে বাধ্য নাও থাকতে পারেন নিয়োগকর্তারা। তবে যদি ক্লোজার অথবা লক-আউটের সময়ও বেতন বা মজুরি পান কর্মীরা, সেক্ষেত্রে ইপিএফ পরিষেবাও দিতে হবে তাঁদের। যদিও এর ফলে ইপিএফ দুর্নীতির আশঙ্কা আরও বেশি হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। এমনিতেই বকেয়া ইপিএফ মেটানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ইউএএনের (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) ভিত্তিতে কেন্দ্র ই-চালান-কাম-রিটার্ন ফাইলিং সিস্টেম চালু করেছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তা ব্যবহার করে ইপিএফ মেটানোর ক্ষেত্রেও অনেক সময় সমস্যা হয় বলে অনেক সংস্থা-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ।