কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট—তিন লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রত্যেকটি পুরসভাতেই লোকসভা ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের কাউন্সিলারদের নিজেদের মধ্যে কাজিয়া হারের অন্যতম কারণ বলে দলের সমীক্ষায় উঠে এসেছে। তাছাড়া, কাউন্সিলারদের একাংশের ঔদ্ধত্য ও জনসংযোগের অভাব, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ইত্যাদিও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি বলে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। সর্বোপরি, গত পুরসভা নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনি বলে নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কারণ, এবারের নির্বাচনের ফলের সঙ্গে গত পুরভোটের ফলাফলের বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে।
তবে তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যানরা প্রকাশ্যে দাবি করছেন, দলীয় বৈঠক নয়, পুর-পরিষেবার হালচাল নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে পর্যালোচনা হবে। হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, সেই অপেক্ষাতেই আছি। এত উন্নয়ন সত্ত্বেও কেন মানুষ আমাদের ভরসা করল না, জানা নেই। দলীয় স্তরে এনিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আমরা উন্নয়নমূলক যেসব কাজ করেছি, সেগুলি বৈঠকে জানাব। আমি ও পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সেখানে উপস্থিত থাকব।’ বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সমস্ত তথ্য নিয়েই নবান্নে যাব।’ মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘এবার ভোট ভাগাভাগি বেশি হয়েছে। ভোটে মানুষ আমাদের ভরসা না করলেও উন্নয়নের কাজে খামতি নেই। সেই খতিয়ান নিয়েই দিদির ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হব।’ গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্তর কথায়, ‘এত কাজের পরও আমার পুরসভা এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেন তৃণমূলকে ভরসা করল না, তা আমার জানা নেই। বলার সুযোগ পেলে পুরসভায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরব বৈঠকে।’