কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
৯ জুন বিকেলে কাজিপাড়ার বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১ বছরের এক বালক। তার পাঁচদিন পর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানতে পারে, ওই বালকের বাবার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদ ছিল ইনজারের। ৮ জুন তা চরম আকার নেয়। ওই দিনই সে ‘টার্গেট’ করে দাদা ও ভাইপোকে। কিন্তু দাদাকে খুন করতে গেলে অনেকটা ঝুঁকি থাকবে ভেবে ভাইপোকে নিকেশ করার পরিকল্পনা করে। অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় ভাইপোকে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১৮ জুন মৃতের কাকা ইনজার নবিকে গ্রেপ্তার করে বারাসত থানার পুলিস। ১০ দিনের পুলিস হেফাজতে রয়েছে সে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিস জানায়, বালকের দেহ উদ্ধারের পর নদীয়ার চাকদহ থেকে এক মহিলা কাজিপাড়ায় আসেন। ওই মহিলা এলাকায় বাচ্চা চুরি করছে বলে রটিয়ে দেয় ইনজার। শুধু তাই নয়, সে বলে বেড়াতে শুরু করে, মৃত বালকের দেহ থেকে কিডনি ও চোখ তুলে পাচার করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে এসব প্রচার চালায় সে। এভাবে গুজব ছড়িয়ে একদিকে যেমন সে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ছেলেধরা নিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলিয়ে যায়। গুজব এবার সংক্রামিত হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়ে বারাসত, অশোকনগর, দেগঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায়। স্রেফ সন্দেহের বশে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটতে থাকে। বারাসত, অশোকনগর থেকে শুরু করে বারাকপুর পুলিসের এলাকায়ও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। পুলিস এই ধরনের ঘটনা থামাতে ব্যাপক ধরপাকড়ের পাশাপাশি মাইকিং করে সচেতনতা প্রচার শুরু করে। সেই সঙ্গে তারা এই গুজবের উৎসে পৌঁছতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে রবিবার বিষয়টি সবার সামনে খোলসা করে দিয়েছেন পুলিসকর্তা। এরপর ছেলেধরা নিয়ে চলতি গুজবে ভাটা পড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার।