কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
পানিহাটি পুরসভার বেহাল অবস্থার জন্য পুরমন্ত্রী ১৫ জুন পুরসভায় হাজির হয়ে সমস্ত কাউন্সিলার সহ পুর ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জল, আলো, রাস্তা, জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে অবিলম্বে বোর্ড মিটিং করা না হলে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এদিন বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। পুর আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান মলয় রায় মিটিং ডাকেন। তাতে তৃণমূলের ৩৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। সাংসদের সভাপতিত্বে মিটিং শুরু হতেই তিন, চারজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং তাঁকে পরিবর্তনের দাবি জানান। তাঁদের থামিয়ে দেন সৌগত।
পুরসভা সূত্রের খবর, সাংসদ ওই কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, চেয়ারম্যান বদল করতে হলে তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই দরকার দলের অনুমোদন। তারপর মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে সেই মিটিং করতে হয়। এরপরই কাউন্সিলাররা চুপ করে যান। এখানেই প্রশ্ন, যেখানে আলোচ্য বিষয় উন্নয়ন, সেখানে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ইস্যু উঠবে কেন? তবে কি সব জেনেও কারোর অঙ্গুলি হেলনে কয়েকজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান বদলের দাবিতে সরব হয়েছিলেন?
কেএমডিএ, সুডার অধিকর্তা থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পারিষদরা রাস্তা, নিকাশি, জঞ্জাল, পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যা কোথায় রয়েছে, সে সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন। ইতিমধ্যে জল বিভাগের সিআইসি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং আলো বিভাগের সিআইসি তাপস দে পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তরের অফিসার-ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছেন। রাস্তা মেরামতির জন্য কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়াররা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। পরে চেয়ারম্যান বলেন, বোর্ড মিটিংয়ের নাগরিক পরিষেবার অ্যাজেন্ডা দূরে সরিয়ে রেখে চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিই গুরুত্ব পেয়েছে। আমাকে বক্তব্যই রাখতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পুরমন্ত্রীকে জানাব।