কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, জয়রামবাটি ও কামারপুকুর রেল স্টেশনে বাকি থাকা নির্মাণের কাজ চলছে। বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি রেল পথের মধ্যবর্তী অংশে লাইনের কাজের সঙ্গে সেতু নির্মাণের কাজও চলছে। জমিজট কেটে বেশকিছু জমি রেলের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। ভাবাদিঘির জট আলোচনার মাধ্যমে কাটানোর চেষ্টা চলছে। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। যদিও তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ তৈরির কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ছিল মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর শহরের সঙ্গে জনপ্রিয় শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বরকে সংযুক্ত করা। এছাড়াও সাতাশি কিলোমিটার বিস্তৃত রেল পথে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলওয়ের মধ্যে পণ্য পরিবহণের বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহার করা।
তবে এই রেল প্রকল্পে ভাবাদিঘির জমিজট এখনও কাঁটা হিসেবে রয়ে গিয়েছে। রেল দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ভাবাদিঘি এলাকায় রেললাইন সম্প্রসারণ ও পশ্চিম অমরপুরে জমি অধিগ্রহণ ও জল নিকাশির বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে থেমে থাকা অন্য কাজগুলিও দ্রুত শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। রেল দপ্তর আশা প্রকাশ করলেও ভাবাদিঘির জমিজটের নিষ্পত্তি দ্রুত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। ভাবাদিঘি তারকেশ্বর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপর পর্যন্ত প্রস্তাবিত ৮২.৪৭ কিমি রেল পথটির জরিপের কাজ ২০০৬ সালে শুরু হয়। ভাবাদিঘি গ্ৰামের বাসিন্দাদের দাবি, তখন দিঘির উত্তর পাড় ধরে মাপজোক করে অস্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা হয়। জমি অধিগ্রহণ চলাকালীন ২০০৮ সালে জানা যায়, দিঘির মাঝখান দিয়ে রেল লাইন করা হবে। রাজ্য সরকার ২০১০ সালে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা নেওয়ার জন্য দিঘির শরিকদের নোটিস পাঠায়। তখন থেকেই ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’ গড়ে অনিচ্ছুকদের আন্দোলন শুরু হয়। কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, নকশার পরিবর্তন কীভাবে হল, সে নিয়ে রেল বা রাজ্য, কোনও পক্ষের থেকেই উত্তর মেলেনি। রেলের তরফে মাসখানেক আগে আমাদের অন্য জায়গায় দিঘি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমরা সেই প্রস্তাব গ্ৰহণ করিনি। রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে তারপরে আর কোনও আলোচনা হয়নি। পশ্চিম অমরপুরের ‘রেল চালাও গ্ৰাম বাঁচাও কমিটি’-র মুখ্য উপদেষ্টা ফটিক কাইত বলেন, অন্যত্র রেলের কাজ চলার কথা শুনেছি। তবে আমাদের এখানে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা মেটেনি। জল নিকাশির যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা নাকচ করা হয়েছে। আমারাও চাই জট কেটে রেলের কাজ দ্রুত শুরু হোক।