অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কোন কাজ সাধারণের উপকারে এসেছে? এই প্রশ্নে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বেকারত্ব কমানো, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, আর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থ মোদি সরকার—কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, বিরোধীদের একটাই অভিযোগ। সাধারণ মানুষের জন্য কী কী করেছেন প্রধানমন্ত্রী? গেরুয়া শিবিরের অন্ধ-ভক্তরা বলছেন—‘বিশ্বগুরু’ হয়ে ওঠার কাহিনি, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার গল্প, জি-২০ সম্মেলনের সফল আয়োজন, আর পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার সাফল্য কাহিনি! তাই তৃণমূল সুপ্রিমোর আক্রমণ—‘ওরা (বিজেপি) একটাই কথা জানে, যত পারো মিথ্যা বলে নাও। হিটলারের প্রচার সচিব গোয়েবেলসের কায়দায় ভাবছে, একটা মিথ্যা বারবার বললে তা সত্যে পরিণত হবে।’ নাম না করে গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’কে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ—‘ভাঁওতা একবারই হয়, বারবার হয় না। মানুষ আপনার মিথ্যা ধরে ফেলেছে, বুঝে গিয়েছে পুরোটাই জুমলা! সঙ্গে এটাও বুঝেছে, আপনার গ্যারান্টি মানে দেশ বেচার গ্যারান্টি। সংবিধান, ঐক্য-সংহতি ধ্বংসের গ্যারান্টি!’
রাজ্যে প্রচারে এসে মিথ্যার বেসাতি করছেন বিজেপি নেতারা, এই অভিযোগ বারবার করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই প্রসঙ্গে এদিন মেমারিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আনা ‘অভিযোগে’র উত্থাপন করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘অমিত শাহ বলেছেন, বাংলা নাকি ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি! সেই কারণেই নাকি কেন্দ্র টাকা দেয় না?’ দৃশ্যত ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার—‘অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ, একটা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পড়ে নেই। সিপিএমের দায়িত্ব নেব না। বিজেপি তুমি সেটা ঠিক করো। আমি আমাদের কথা বলব।’ সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘ক্যাগ রিপোর্টে বলছে, কেন্দ্রের ৩২টি বিভাগ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি। আয়নায় আগে নিজের মুখ দেখুন।’
মালদহের যে দু’টি কেন্দ্রে তৃণমূল এবার জোরদার লড়াই চালাচ্ছে, তার ফলাফলে বড় ভূমিকা রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের। এই জেলায় দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই ত্রিমুখী লড়াই। এহেন মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতার সতর্কবার্তা—‘বিজেপি জিতলে সিএএ হবে, এনআরসি হবে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও কার্যকর করবে। তাই সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে দেবেন না। এখানে কংগ্রেস, সিপিএম মিলে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে। সতর্ক থাকুন। ওদের ভোট দেবেন না।’