কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টির ঘাটতির জন্য উঁচু চাষের জমিতে ১০ শতাংশ এলাকায় এখনও আমন লাগানো যায়নি। ধাপে ধাপে বৃষ্টি হওয়ায় ৯০ শতাংশ চাষের এলাকায় আমন লাগানো হয়েছে। চাষের জমিতে যে পরিমাণ জল থাকা দরকার সেটা সর্বত্র নেই। সপ্তাহ দু’য়েক ভারী বৃষ্টি না হলে সেচের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর উত্তর দিনাপুর জেলায় দুই লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন চাষের টার্গেট নিয়েছে কৃষিদপ্তর। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আমন লাগানোর পক্ষে উপযুক্ত সময় হলেও গত জুন ও জুলাইয়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক উঁচু জমিতে এখনও চাষিরা ধান রোয়া করতে পারেননি। চলতি বছর জুন মাসে মাত্র ২২২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে দু’দিন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় মূলত আমন লাগানোর কাজ শুরু করেন জেলার চাষিরা। জুলাইয়ে ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। স্বভাবিকভাবে জুলাইয়ে গড়ে ৯০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমন ধান লাগানোর পর জমিতে ৫-১০ সেন্টিমিটার জমা জল জমিতে থাকা দরকার। কিন্তু এখন অধিকাংশ আমনের উঁচু জমিতে জল নেই। জমি শুকিয়ে যাওয়ায় ঘাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জুনে অন্তত ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ও জুলাইয়ে ৯০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সব ধরনের আমনের জমিতেই জল থাকে। এবছর ধাপে ধাপে বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি দু’মাসে মাত্র তিন দিন হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় মূলত বৃষ্টিনির্ভর আমন চাষ হয়। অনেক চাষির জমিতে সেচের উৎস থাকলেও তাঁরা মূলত বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আমন চাষ করেন। সরকারি হিসাবে জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা সেচের আওতায় রয়েছে। আমন চাষ সেচের আওতায় নেই এমন বহু উঁচু জমিতে চাষিরা চাষ করেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জেলার বহু চাষি ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমন ধান লাগাতে পারেন। তবে ৩১ জুলাইয়ের পরে আমন ধান লাগানো হলে তাতে ফলন কিছুটা কমতে থাকে। দেরিতে ধান লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকলে আমনের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তাতে আগাছার উপদ্রব বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগস্টে ভারী বৃষ্টি হলে আমন চাষে ক্ষয়ক্ষতির খুব একটা আশঙ্কা নেই। উত্তর দিনাজপুরের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা না যাওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন চাষিরা। সকাল থেকে যেভাবে প্রখর রোদ উঠছে এতে চাষিদের উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছে।