মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
কোভিডের কঠিন সময়ে যেখানে বহু তাবড় সংস্থা নিজেদের একাধিক ইউনিটে তালাচাবি দিতে বাধ্য হয়েছে, কোভিড শেষেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে শুধু ব্যবসা বাড়ানোই নয়, এবার সম্মানজনক লাভও করেছে সংস্থাটি। শনিবার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২-এ সারা বছরে আমরা ৬ কোটি এবং সাড়ে ৭ কোটি টাকার মুনাফা করেছিলাম। সেখানে, এবছর নভেম্বর পর্যন্তই লাভ করেছি ৭ কোটি টাকার।
বর্তমানে অ্যামক্সিসিলিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রভৃতি অ্যান্টিবায়োটিক সহ ১০৪ ধরনের ওষুধ তৈরি করে বাংলা ও বাঙালির গর্ব আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। প্রস্তুত করে ১৪-১৫ ধরনের জীবাণুনাশক পণ্যও। ভারী ও মাঝারি শিল্পের জন্য জল পরিশোধকও তৈরি করে। কিন্তু যথারীতি নিজেদের সিগনেচার ব্র্যান্ড ফিনাইলের হাত ধরে এবারও বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করছে বেঙ্গল কেমিক্যাল।
নভেম্বর পর্যন্ত হওয়া ৭২.৬০ কোটি টাকার ব্যবসার মধ্যে ৩০ কোটিই এসেছে ফিনাইল বিক্রি থেকে। প্রায় ১৭ কোটি টাকার ব্যবসা দিয়েছে ব্লিচিং পাউডার। সংস্থাটি কিছুদিন আগে বাজারে এনেছে ব্যথা-বেদনার জেল, সেটিও বিক্রি হয়েছে দেদার।
রবিবার সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীরজা শরাফ বলেন, ‘বেঙ্গল কেমিক্যালের ইতিহাসে নভেম্বরেই সর্বকালীন রেকর্ড ব্যবসা করে ফেলেছি আমরা। পর্যাপ্ত বরাত হাতে আছে। জোর গতিতে চলছে উৎপাদন। আশা করছি, অর্থবর্ষ শেষে ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলব। এর আগে ২০১৮-১৯-এ ১১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিলাম আমরা।’ নিজেদের তৈরি রেকর্ড বারবার ভাঙার জন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন নীরজা।