বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
বৈঠক শেষে সাংসদ বলেন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্ডোরে ১২০০ রোগী ভর্তি থাকেন। আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার রোগী চিকিৎসা করান। ফলে দৈনিক সবমিলিয়ে হাসপাতালে ছ’হাজার রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়। সেই তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। কিছু চিকিৎসক কলকাতা থেকে যাতায়াত করে ডিউটি করেন। তাঁরা সপ্তাহে গড়ে দু’দিন ডিউটি করেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। তাঁদের অন্তত চারদিন ডিউটি করতে হবে। তা না হলে ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে না।
এমএসভিপি বলেন, চিকিৎসকদের নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার জন্য আমরাও বলেছি। হাসপাতালে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি আমরা সাংসদকে জানিয়েছি। তা নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের জায়গা জবরদখল হয়ে যাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছে। এদিনের বৈঠকে ওই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে সাংসদের সাহায্য চান। সমস্যা সমাধানে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে অরূপবাবু এদিন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে সরকারি জায়গা জবরদখলমুক্ত করতে হবে বলেও সাংসদ জানান। বাঁকুড়া মেডিক্যালে বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মীর বহু পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ওইসব শূন্য পদে নিয়োগের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে ১৫০টি পদে লোক নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যদিও নিয়োগের জন্য রাজ্যস্তরের সবুজ সংকেত প্রয়োজন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তা যাতে সহজে পাওয়া যায়, তারজন্য বিভিন্ন মহলে তদ্বির করার ব্যাপারেও এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র