কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আমজাদ আলি শেখ ওরফে লম্বু ও হীরামোহন মল্লিক। আমজাদ আলি শেখের বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া গ্রামে। আর হিরামোহনের বাড়ি বর্ধমান শহরের কেষ্টপুরে। রবিবার ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
উল্ল্যেখ, শুক্রবার রাতে ঘটনার দিন পুইনি গ্রামের নিবাস দাস স্ত্রী ও মেয়েকে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে শুধু ছিলেন নিবাসবাবুর ছেলে রাকেশ দাস, শাশুড়ি খুকু দাস ও মাসি শাশুড়ি মিনাদেবী। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রাকেশবাবু তাঁর পোষ্য কুকুর নিয়ে বাইরে বেরতেই ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা ৬-৭ ভরি সোনার গয়না, ২০ থেকে ৩০ ভরি রুপো ও নগদ ৫০-৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে রাকেশবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। তাতে প্রাণে বাঁচলেও জখম হন। এই ঘটনায় রাকেশবাবু কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই পুলিস তদন্তে নেমে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতিতে যুক্ত প্রত্যেকেই দাগী দুষ্কৃতী। এর আগেও তারা ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত। পুলিস চন্দ্রপুর বাজারে সিসি ক্যামেরা দেখে একজনকে চিহ্নিত করে। সে আগেও ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল। চন্দ্রপুর বাজার থেকে নিবাসবাবুর বাড়ি কাছেই। এরপরেই পুলিস ওই দুষ্কৃতীর মোবাইল নম্বরে টাওয়ার লোকেশন দেখে বাকিদের কথা জানতে পারে। এছাড়া চন্দ্রপুর বাজারে ধৃত দুষ্কৃতী আমজাদ আলি শেখ ওরফে লম্বুকে ব্যাগ নিয়ে একটি টোটো থেকে নামতে দেখে। তদন্তকারীরা জানতে পারে ধৃত দুই দুষ্কৃতী সহ বাকিরা বিকেলের দিকে পুইনি গ্রামের পাশে এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল।
লম্বুকে এদিন বিকেলে পুলিস মঙ্গলকোটের নিগন এলাকা থেকে ধরে। আগে থেকেই সোর্স মারফত খবর পেয়েছিল নিবাসবাবুর বাড়িতে নগদ টাকা রয়েছে। কারণ নিবাসবাবু নতুন ঘর তৈরি করছিলেন। তাই নগদ টাকা আগে থেকেই জোগাড় করে রেখেছিলেন। ডাকাতির পরেও দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। জেলেই দুষ্কৃতীদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা নতুন দল তৈরি করে।
(কাটোয়ায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ায় দুই দুস্কৃতীকে আদালতে তোলা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র)