কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শহরের মধ্য থেকে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে বর্ধমান। তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডকে নবাবহাট ও উল্লাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সময় থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় শহর আসানসোল বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। পরে কালিপাহাড়ীর ভগনাডিহিতে একটি বাসস্ট্যান্ডের কিছু পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। ২০১৯ সালে বাসস্ট্যান্ডটি এসবিএসটিসির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে সিধু-কানুর মূর্তি উন্মোচন করে বীর সিধু-কানু বাস টার্মিনাস নামকরণ করা হয়। কিন্তু বাস টার্মিনাস চালু হয়নি। এটি এবিএসটিসি’র অফিসে পরিণত হয়। তিন বছর ধরে অব্যবহৃত বাসস্ট্যান্ড জঞ্জালে ঢেকেছে। পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, শহরের ভিতরে বাসস্ট্যান্ড থাকায় মানুষ যানজট সমস্যায় নাকাল হয়েছে। শহরের মধ্যে থাকা সিটি বাসস্ট্যান্ডটিরও বেহাল দশা। ছোট বাসস্ট্যান্ড হওয়ায় বাস দাঁড়ানোর নানা সমস্যা রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ভিনরাজ্যের বাসগুলির জন্য ওখানে স্থায়ী ব্যবস্থা করা গেলে এখানে এই সমস্যা মিটবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে আসানসোলে ৩৩টি বাস চলে। সেগুলি বাইরে দিয়ে যাতায়াত করলে শহরের যানজটও কমবে। টাউন সার্ভিস বাস শহরের ভিতরে চালানো হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এসবিএসটিসি। সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভার উদ্যোগে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই দু’টি শহরে ১৬টি বাস নামতে চলেছে। আমাদের বাস টার্মিনাসটি আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই।
আসানসোল মিনি বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি টাউন সার্ভিস পেতে মানুষের সমস্যা হবে না। অন্যদিকে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আমরা দ্রুত বাসস্ট্যান্ডটি চালু করতে চলেছি। জিটিরোড দিয়ে বাসগুলি নিয়ে গেলে যাত্রীদের সুবিধা হবে। আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন, অটো-টোটো নিয়ন্ত্রণ না করা হলে শহরের যানজট কমানো অসম্ভব। আইএনটিটিইউসির পরিবহণ শ্রমিক নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, শহরের বাসস্ট্যান্ডটি আধুনিকভাবে গড়ে তুললেই সব সমস্যা মিটে যায়।
(আসানসোল সার্কিট হাউসে বাস টার্মিনাল নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসক।-নিজস্ব চিত্র)