কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
মানুষের ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিস কর্মীদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মানবাজার ও রানিবাঁধ থানার পুলিস। ভিড় দেখেই ছোলা-বাদাম থেকে শুরু করে মুড়ির প্যাকেট নিয়ে গোঁসাইটি গ্রামে রাস্তারচ ধারে বসে পড়ে প্রচুর বিক্রেতা। স্থানীয় মানবাজার থানার ধানারা গ্রাম থেকে এসে দোকান সাজিয়ে বসেছিলেন সনাতন মোদক। তিনি বলেন, বিভিন্ন মেলায় দোকান নিয়ে বসি। বাঘ দেখতে এসে দেখি এখানে মেলার মতো ভিড়। তাই বাড়িতে গিয়ে দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে আসি। বিক্রিবাটাও হচ্ছে ভালো। স্থানীয় ভুঁড়াশোল গ্রামের বিধান গড়াই বলেন, ভিড় দেখে আজ সকাল থেকেই দোকান নিয়ে বসি। এদিন বাঘ ধরা পড়বে খবর ছড়িয়ে যেতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করে। বিক্রিও হয় ভালো।
প্রত্যন্ত এলাকা গোসাইডি। মুকুটমণিপুর জলাধারের পাশেই এই গ্রাম। মুকুটমণিপুর থেকে জলাধার পেরিয়ে আসা যায় গ্রামে। গ্রামে দোকানপাট নেই বললেই চলে। বনদপ্তরের বাঘিনীকে ধরার তৎপরতা দেখে বাড়িতে ফিরতে পারছিল না উৎসুক জনতার অনেকেই। এই বুঝি বাঘ ধরা পড়ল, সেই ভেবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়। না খেয়েই দিন কাটায় অনেকে। কেউ কেউ দোকান থেকে মুড়ি কিনে খায়। অনেক পুলিস কর্মী এমনকী বনদপ্তরের কর্মীরাও খাবার কিনে খান দোকান থেকে। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধের একটি গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য সিং জানান, বাঘ ধরা হবে শুনে সকালেই এখানে এসেছি। এসে দেখি প্রচুর ভিড়, কিছু দোকানপাট বসেছিল। সেখান থেকে মুড়ি কিনে খাই। মানবাজারের সহদেব মাহাত বলেন, দু’ দিন ধরেই রোজ আসছি। মেলার মতো ভিড়। রবিবার বিকেলে বাঘ ধরা পড়ায় খুশি অনেকেই। তবে দোকানদারদের মুখ ব্যাজার— মেলাটা আর ক’দিন চললে আরও দু’ পয়সা রোজগার হতো।