কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গনগনির এই খাদ তৈরি নিয়ে নানা ইতিহাস রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, পাণ্ডবরা নদীতীরের এই গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে আশ্রয় নিয়েছিল। সেইসময় জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বকাসুর নামের এক রাক্ষস নানাভাবে তাণ্ডবলীলা চালাত। সেইসময় মাতা কুন্তীর নির্দেশ অনুসারে বকাসুরের সামনে হাজির হয় ভীম। ভীম আর বকাসুরের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। আর এই লড়াইয়ের জেরেই শিলাবতীর তীরে এমন গভীর খাদ তৈরি হয়েছে। এই এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। চুয়াড়-লায়েক বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অচল সিংহ এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু ঐতিহাসিক এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কোনও কাজই করেননি। এর ফলে জঞ্জালে ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গনগনির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শিলাবতী বা শিলাই নদী। নদীর এক পাশে রয়েছে গিরিখাত বা ক্যানিয়ন। যার সঙ্গে আমেরিকার অ্যারিজোনায় কলোরাডো নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের তুলনা টানেন অনেকে। গনগনিকে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বলা হয়। কিন্তু তা দেখতে এসেই হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা।
এক পর্যটক বলেন, ছোট রাস্তা সংস্কার করতে পারেনি প্রশাসন। এত বড় পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের দামও অনেকটাই বেশি। এছাড়া সকলের পক্ষে জল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া শৌচালয়ও অপরিষ্কার। এর ফলে বিশেষ করে মহিলাদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। স্থানীয় বিধায়ক উত্তরা সিং হাজরা বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে বলব সমস্যার সমাধান করাতে। আমিও দেখছি কী করা যায়।