উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
এদিন কথা হচ্ছিল গ্রামের বাসিন্দা লক্ষী হালদার, জয়া হালদার, ছবি দাসের সঙ্গে। তাঁরা বলছিলেন, ‘প্রাণ বাঁচাতে সকলেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। বাঁধের উপর তাবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন করেছি। তবে, মনটা বাড়িতেই ছিল। কারণ বাড়ির জিনিস পত্র বিশেষ নিয়ে আসতে পারিনি। অসীমাদি গ্রামে থাকায় কোনও দুশ্চিন্তা হয়নি। ওঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।’
কাপাসটিকরি গ্রামের পাশ দিয়েই গিয়েছে কংসাবতী। ফি বছরই এই কংসাবতীর জলে বানভাসি হন গ্রামবাসীরা। তবে, এবারের বন্যার ভয়াবহতা অনেকটাই বেশি। বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে এই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান গ্রামবাসীরা। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা গ্রাম চলে যায় জলের নিচে। গ্রামবাসীরা একে একে চলে যান নদী বাঁধে। অসীমাদেবীর স্বামী মেঘনাদ ও ছেলে পঙ্কজও চলে যান। অন্যান্য গ্রামবাসীদের সঙ্গে ত্রিপল খাটিয়ে মেঘনাদও থাকতে শুরু করেন। স্বামী ও ছেলে বারবার অসীমাদেবীকে যেতে বললেও তিনি শুনতে চাননি। বাড়িতে থাকা একটি খাটের উপর আশ্রয় নেন পঞ্চায়েত সদস্যা। ছেলে পড়ার বই দড়ি দিয়ে বেঁধে উপরে তুলে দেন। খাবার বলতে ত্রাণের মুড়ি। জানা গিয়েছে, বর্তমানে গ্রামের মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু মাটির বাড়ির একাংশ ভেঙে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গ্রামবাসীদের। বাড়িতে সাপ, ব্যাঙ আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামে চাষ হওয়া ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিন অসীমাদেবী বলেন, ‘তিন দিন খাটের উপর বসেছিলাম। ঘরের ভিতর এক কোমরের কাছাকাছি জল ছিল। খাটটি ডুবে যায়নি। খুব কষ্ট হয়েছে। ঘরের ভিতরে সাপ ঢুকে আসতে দেখেছি। লাঠি দিয়ে তাড়িয়েছি। গ্রামের ভিতর নৌকা নিয়ে কারা ঢুকছে, নজর রাখতাম। তাই কিছু জিনিস পত্র ভেসে গেলেও চুরি হয়নি।’
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদ্যৎ পাঁজা বলেন, গ্রামবাসীদের পাশে প্রশাসন ও দল সর্বদা আছে। দ্রুত মানুষের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। নিজের বাড়িতে অসীমা হালদার।-নিজস্ব চিত্র