উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
মণ্ডপে ঢুকতেই হারিয়ে যাওয়া তালগাছ দেখতে পাবেন দর্শকরা। মণ্ডপের মাঝখানে সেটিকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ঝুলবে বাবুই পাখির বাসা। তাল গাছের নীচে থাকবে সোনার খাঁচা, যা ভেঙে বেরিয়ে এসে মুক্তি পাচ্ছে পাখি। বার্তা দেওয়া হবে, যতই তুমি সোনার খাঁচা বানাও না কেন, এই খাঁচার মধ্যে পাখিকে আটকে রাখা যাবে না। পাখিরা মুক্তি চায়। পাখি যে খাঁচায় বন্দি থাকতে চায় না। তার পছন্দ খোলা আকাশ। সোনার খাঁচাতেও বন্দি হতে চায় না পক্ষিকূল। গোটা মণ্ডপটিকে একটি খাঁচার আদলে তৈরি করে সেই খাঁচাটিকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার পাখি সেখান থেকেই পাবে মুক্তির স্বাদ। উপস্থাপনার অভিনবত্বে বহরমপুর শহরে এবার নজর কাড়তে চলেছে এই পুজো। প্রতিমা সজ্জাতেও পাখির কারুকার্য। দেবীর দশ হাত যেন প্রকৃতির দিকে উন্মুক্ত হয়ে আছে। পাখির ডানার আদলে একটি বড় ডানা মেলা দুর্গা প্রতিমাকে মূল মণ্ডপে দেখানো হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশের আদলও একই। কুহেলী সঙ্ঘের সম্পাদক মুন্না সরকার বলেন, গোটা মণ্ডপটি একটি বড় পাখির খাঁচার আদলেই তৈরি হচ্ছে। যার মুক্ত দরজা দিয়ে দেখা যাবে দুর্গা প্রতিমা। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপের ভিতরে প্রাচীরে এক একটি ব্লকে পাখির জীবন চক্র দেখানো হবে। সর্বত্র পাখিদের মুক্তি দেওয়া হবে। দুর্গা প্রতিমা যেন হাত মেলে উড়ে যাওয়ার আশা করছে। এবার আমাদের বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আমাদের প্রতিমা শিল্পী প্রশান্ত দাস। থিম শিল্পী মনজিৎ ঘোষ। খড়ের শিল্পীরা সকলেই লালবাগ থেকে এসে এখানে কাজ করছেন।
কুহেলী সঙ্ঘের সভাপতি রাজকুমার সরকার ও কোষাধ্যক্ষ নোটন দাস বলেন, গতবার আমরা জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হয়েছিলাম। এবারও আশা করছি এই অভিনব বিষয় ভাবনার জন্য পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে পারব। -নিজস্ব চিত্র