উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
কংসবণিক বাড়ির পুজো, কাঁসারি বাড়ির পুজো বলেই প্রসিদ্ধ। এই কাঁসারি বাড়ির দেবী দুর্গা প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন। জানা গিয়েছে, এই পুজোর সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। এই পুজোর সূচনা করেন কাঁসা পিতল ব্যবসায়ী স্বর্গীয় কৃষ্ণকুমার কংসবণিক। পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে যুধিষ্ঠির কংসবণিক এই পুজোর দায়িত্ব নেন। তাঁর হাত ধরেই এই পুজো প্রায় ৭৬বছর আগে নবদ্বীপের বড়ালঘাটে চলে আসে।
নবদ্বীপে এই পুজো যুধিষ্ঠির কংসবণিকের তিন ছেলে রাধামাধব, যাদবচন্দ্র ও কেশবচন্দ্র কংসবণিকরা দায়িত্ব নেন। কংসবণিক পরিবারের পুজো একই সঙ্গে হয়ে আসছিল। কিন্তু শরিকি বিভাজনে কেশবচন্দ্র কংসবণিকের দুই ছেলে কাঁসা পিতল ব্যবসায়ী কার্তিক কংসবণিক ও গণেশ কংসবণিক আলাদাভাবে গত আট বছর ধরে পুজো করে আসছেন। কার্তিক ও গণেশবাবু বলেন, এই পুজো আট বছর ধরে আমরা আলাদাভাবে শুরু করি। বংশের রীতি মেনে একচালের প্রতিমা হয়। এখানে দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশের অবস্থান উল্টো। এছাড়াও পুজোর একটি বিশেষ নিয়ম আছে।
বিজয় দশমীর বিসর্জনের পরেও চলে পুজো পাঠ। সেটা দেবী দুর্গার নয়, পুজো হয় পুজোর উপকরণের। কোষা-কুষি থেকে কাটারি, পঞ্চ প্রদীপ, দর্পণ থেকে হাতির দাঁত, পুজোর যত ধরনের উপকরণ লাগে তার সমস্ত কিছুই পুজো হয়। পুরোহিত পুজো করেন এবং পুজো চলাকালীন সমস্ত উপকরণ পরিবারের কপালে ঠেকানো হয়।
জানা গিয়েছে, রীতি অনুযায়ী এই দেবীর পুজোয় অন্নভোগ দেওয়া হয় না। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন শুকনো ভোগ অর্থাৎ চিঁড়ে, খই, মুড়কি, বাতাসা, বিভিন্ন ফলফলাদি এবং মিষ্টি ভোগ নিবেদন করা হয়। পুজোর দিনগুলিতে কাঁসারি বাড়িতে কোনও আমিষ খাবার না ঢুকলেও বিজয়া দশমীর দিন জোড়া ইলিশ মাছ খাওয়ার প্রথা রয়েছে। ফাইল চিত্র